ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমে উঠেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
জমে উঠেছে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে ক্রেতাদের ভিড়। ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে জমে উঠতে শুরু করেছে ঈদ ও বৈশাখের কেনাকাটা। দীর্ঘ দুই বছর পর কেনাকাটায় স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসায় খুশি ক্রেতা এবং বিক্রেতারাও।



সোমবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ১লা বৈশাখ এবং ঈদ সামনে রেখে সাধারণ মানুষরাও ভিড় জমাচ্ছেন এখানে কেনাকাটা করতে। বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙের কাপড়সহ বিভিন্ন রঙিন নতুন পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউজগুলো। এসেছে নতুন নতুন কারেকশনও। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। আর বেশিরভাগ পোশাকই রাখা হয়েছে সুতির।
বসুন্ধরা সিটির নিপুণ, সৃষ্টি, সাদাকালো, দেশাল, রঙ বাংলাদেশ, কে-ক্রাফট, অঞ্জন্স, জ্যোতি, প্লাস পয়েন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রতিটি শো-রুমেই এখন ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখার চিত্র দেখা যাচ্ছে। আবার পছন্দ হলে কিনছেনও।

বৈশাখ আর ঈদের বাজারে পোশাকের কালেকশন ও দামের বিষয়ে ক্রেতারা বলেন, এখন বেশকিছু কালেকশন নতুন হয়েছে। তবে আরও কালেকশন এলে বাজার জমে উঠবে। এছাড়া কাপড়ের দামও ঠিক আছে, তেমন বেশি নয়। তাই পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনেছি।

প্রিয়জনের জন্য বৈশাখী পোশাক বাছাই করছিলেন ক্রেতা আনিসুর রহমান। কথা হলে তিনি বলেন, সামনেই পহেলা বৈশাখ। এরপর আবার ঈদ। তাই দুই উৎসবেই যেন ব্যবহার করতে পারি, এমন বিষয়টা মাথায় রেখেই পোশাক খুঁজছি।

আকলিমা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, দরজায় কড়া নাড়ছে বৈশাখ। বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে সংস্কৃতি অঙ্গনে অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বৈশাখের দুই সপ্তাহ পরেই ঈদ। করোনার দুই বছরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়নি। ঈদের মধ্যেও হয়নি তেমন কেনাকাটা। তাই এবার দুই বড় উৎসব ঘিরে মাসের শুরু থেকেই কেনাকাটা শুরু করেছি। বৈশাখ আর ঈদের পোশাকে ব্যবসায়ীরা এনেছেন বৈচিত্র্য। বর্ষবরণের লাল, সাদা, সবুজ পাঞ্জাবি; শাড়ির সঙ্গে রয়েছে বাহারি সব পোশাক। দুই উৎসবের বিকিকিনিতে ব্যবসায়ীরাও গত দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাঁধছেন আশা। সেদিক থেকে নিত্য নতুন পণ্যের সমাহারে সাজানো হয়েছে শো-রুম। ছোট-বড় সবার জন্য সাড়ে ৮শ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দামের পাঞ্জাবি রয়েছে এসব দোকানে। শাড়ির দাম শুরু হয়েছে ১২০০ টাকা থেকে। এছাড়া রয়েছে জিন্স প্যান্ট, ওড়না, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গাসহ বিভিন্ন পণ্যের সমাহার।

এ প্রসঙ্গে রঙ বাংলাদেশের আউটলেট ম্যানেজার মো. পারভেজ বলেন, এবার আমাদের কালেকশনে ৭০ শতাংশ নতুন পোশাক। শিশুদের পোশাকে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। আর আশা অনুরূপ বিক্রিও আছে। দেশালের আউটলেট ম্যানেজার মো. সজীব বলেন, গত দুই বছর তো করোনার জন্য সেভাবে বিক্রি হয়নি। এবার করোনার পর যেমন আশা ছিল তা হচ্ছে বলা যায়। তবে আগামী কয়েকদিন পর বিক্রি আরও বাড়বে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে পারাই খুশি ক্রেতারা। তাইতো পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে প্রসাধনী আর শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে চুড়ি, ফিতাও নিচ্ছেন তারা ঘুরে ঘুরে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।