ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না মধুখালী-মাগুরা রেললাইন প্রকল্প’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
‘নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না মধুখালী-মাগুরা রেললাইন প্রকল্প’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন

ফরিদপুর: রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হচ্ছে না ফরিদপুরের মধুখালী থেকে মাগুরা ভায়া কামারখালী ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্প। তবে সময় বাড়ানো হলেও প্রকল্প মূল্য বাড়বে না।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বিকেলে ওই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজার সংলগ্ন নির্মাণাধীন কামারখালী রেলওয়ে স্টেশনের সামনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান রেলমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্প নেওয়া হয় গত ২০১৮ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের নভেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণজনিত জটিলতা, এলাকার বাস্তবতা এবং সর্বোপরি করোনার প্রদুর্ভাবের কারণে কাজ সময় মতো শুরু করা যায়নি। এ কাজ শুরু হয়েছে প্রকল্প শুরুর অনেক পরে ২০২১ সালের ২৩ মে।  

রেলমন্ত্রী বলেন, সময় মতো কাজ শেষ করা না গেলে এ কাজের সময় বাড়ানো হবে, তবে এজন্য প্রকল্প ব্যয় বাড়াবে না সরকার। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প ব্যয় বাড়ানোর জন্য দাবি করেছেন। সেটা সরকার বিবেচনা করতে পারে।  

মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যয় দিয়ে। তাই বিশ্ব বাজারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম কতটা কী বেড়েছে তা সরকারের বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই।  

রেলনন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, এ কাজের অংশ হিসেবে দুটি নতুন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর একটি মাগুরাতে এবং অপরটি ফরিদপুরের কামারখালীতে।  

মধুমতি নদীর উপর রেল সেতু নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। পাইলিংয়ের বাকি কাজ বর্ষার পর শেষ করা হবে। এ প্রকল্পের অধীনে নতুন রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি পুরোনো রেল লাইন সংস্কার করা হচ্ছে।  

এ সময় মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের সত্ত্বাধিকারী মীর নাসির হোসনসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ৮৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এ পর্যন্ত এ কাজের ৩০ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে।  

অন্যদিকে মধুমতী নদীর উপর ২ হাজার ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে রেল সেতু নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে ৪৪৮ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। এ পর্যন্ত এ কাজের ২৭ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।