ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানির পণ্য দেশে এলে দ্রব্যমূল্য কমবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২২
আমদানির পণ্য দেশে এলে দ্রব্যমূল্য কমবে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: বেশি দামে পণ্য কিনে আনতে হচ্ছে বলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে বেশি সময় লাগবে না। আমদানি করা পণ্য দেশে এলে খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য জিনিসের দামও কমে আসবে।

বুধবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডলারের বাজার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এই যে ওঠানামা বেশি হচ্ছে, সেটি কমিয়ে আনতে হবে। সেটি কমিয়ে আনলে একই প্ল্যাটফর্ম থেকে সবাই এগোতে পারবে। সেই প্ল্যাটফর্ম হবে ন্যায়নীতির ভিত্তি। আমিও বিশ্বাস করি, আমরা অর্থনীতিকে মূল স্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে পারব, বেশি সময় লাগবে না। সব জিনিসেই আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের অগ্রগতি হচ্ছে। আমরা আগে যেমন আমাদের অর্থনীতিকে নিয়ে গর্ব করতাম, সারা পৃথিবীর মানুষ যেভাবে গর্ব করতো, সেই গর্বের জায়গায় যাবো, বেশি সময় লাগবে না।

মূল্যস্ফীতি বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেই সেই সময় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ১২.৩ শতাংশ। সেই কত বছর আগে এটি ছিল। এর মাঝে অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়েছি। করোনা মোকাবিলা করেছি সুন্দরভাবে। সারাবিশ্বে প্রসংশিত হয়েছি এটি সুন্দরভাবে করার জন্য। এখন আমরা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ মোকাবিলা করছি। এটিও আমরা সুন্দরভাবে মোকাবিলা করব। আমরা আরও মাসখানেকের মধ্যে এখানে প্রতিফলন দেখতে পারব। এখন ইম্পোর্ট করে যা আনছি সেগুলো দেশে পৌঁছালে সঙ্গত কারণে অন্যান্য জিনিসের দামও কমবে। খাদ্যদ্রব্যের বাইরের জিনিসের দামও কমে আসবে। ডলারের দামও কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি এখন ৭ শতাংশ মাত্র। ভোজ্যতেল বা অন্যান্য যেসব জিনিস তাদের থেকে কিনতে হয়, তাদের যদি দাম বাড়ে সেই প্রভাব এখানেও পড়ে। আমাদের বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।

দুর্নীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের এখানে কতটা দুর্নীতি হয় সেই তথ্য আমার কাছে নাই। আপনাদের কারো কাছে নাই, কিন্তু হয়ত অনুমান করে বলতে পারেন যে, দুর্নীতি হচ্ছে। দুর্নীতি যে হচ্ছে না সেটি নয়, নাহলে আমাদের এক্সপোর্ট যদি ইম্পোর্টের চেয়ে বেশি না হয় তাহলে আমরা এক্সপোর্ট করব কেন। এ প্রশ্নটা এসে যায়। আমরা সব সময় আশা করি রপ্তানি বাণিজ্য আমদানির চেয়ে বেশি হবে। কিন্তু আমরা দেখলাম কিছুদিন ধরে এ কাজটি হচ্ছে। এখানে একটা আরেকটিকে ব্যালেন্স করে। সঠিকভাবে এগুলোর মূল্যায়িত হচ্ছে না। যে মানুষগুলো শ্রম দিয়ে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে তাদের স্বপ্ন একটাই, আগামী প্রজন্ম লাভবান হবে এবং তারা একটি বিশুদ্ধ স্বপ্ন দেখবে। সেজন্য তারা যা পাচ্ছে দেশে পাঠাচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে ভীষণ ক্রাইসিসি হয়েছিল, সেই সময় মূল্যস্ফীতি বেড়েছিল। এখন আমাদের সব সময় রিজার্ভ মেইনটেইন করতে হয়। যদি একটু বাড়ে কমে তাহলে সমস্যা নাই। তিন মাসের থাকা উচিত, এটি আইএমএফের চাহিদা। সেসময় আমাদের ছিল মাসে গড়ে ৭৫.৮ বিলিয়ন ডলার, তিনমাসে দরকার ছিল ২.৪ বিলিয়ন ডলার। সেই সময় সেটি কিন্তু ছিল। সেই সময় এটি কমার কারণে সরকারকে ৫৬ আইটেমের এলসি মার্জিন বাড়ানো হয়েছিল, সেটা সব দেশই করে।  

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার যে সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগটি দেশের মানুষ গ্রহণ করবে। আমার অনুরোধ থাকবে দেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে, আগামী প্রজন্মের জন্য দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে আরও উদ্দীপনা দিয়ে আরও ভালোভাবে বুঝে যেন এটি করেন। যাদের কাছে অপ্রদর্শিত টাকা আছে সেটি এই স্কিমের আওতায় এনে স্থায়ীভাবে আগামী প্রজন্মের জন্য এটি করা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।