ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বদলে যাবে মোংলা বন্দর

তৌহিদুর রহমান, ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
বদলে যাবে মোংলা বন্দর

মোংলা থেকে ফিরে: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলাকে আরও আধুনিক ও গতিশীল করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে ‘মোংলা বন্দর মানোন্নয়ন’ প্রকল্প।

ভারত সরকারের তৃতীয় রেয়াতি লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে বাস্তবায়িত হচ্ছে প্রকল্পটি। ৫৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ের এ প্রকল্পে মোংলা বন্দরের ১ ও ২ নম্বর জেটি নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত। এতে বদলে যাবে মোংলা বন্দর।

মোংলা বন্দরের মান উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প একটি আর একটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মোংলা বন্দর উন্নয়নের পাশাপাশি মোংলা থেকে খুলনা রেললাইন নির্মাণও করা হচ্ছে। আর এ রেলকে খুলনার সঙ্গে যুক্ত করতে রূপসা নদীর ওপর নির্মিত হচ্ছে রেল সেতু। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে ভারত।

মোংলা বন্দর মানোন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক ইমতিয়াজ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প শেষ হলে বন্দরের গাড়ি পার্কিং ক্ষমতা ২০ হাজারে উন্নীত হবে। একইসঙ্গে বছরে ১৮০টি জাহাজ হ্যান্ডলিং করা সম্ভব হবে। সরকারের আয় বাড়বে। আবার কর্মসংস্থানও বাড়বে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইজিস ইন্ডিয়া কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পটির পিএমসি চুক্তির জন্য প্রযুক্তিগতভাবে যোগ্য দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। পিএমসি চুক্তির মূল্যমান ৯.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। খুলনা-মোংলা বন্দর রেল প্রকল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এ বন্দরের উন্নয়ন শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক যোগাযোগ নয়, ভুটান ও নেপাল থেকেও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সুবিধা সৃষ্টি করবে। প্রকল্পটি উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে এবং সমগ্র অঞ্চলের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।  

 
সূত্র জানায়, ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৭.৮৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চারটি লাইন অব ক্রেডিট এলওসি দিয়েছে। এ এলওসির অধীনে এখন পর্যন্ত ৪২টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের অর্থবছর শেষের হিসাবে এ এলওসির অধীনে ১ হাজার ১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার মাইলফলকে পৌঁছেছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বিগত অর্থবছরে বাংলাদেশকে ৩২৭.৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হয়, যা আগের যেকোনো অর্থবছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

রেয়াতযোগ্য অর্থায়ন প্রকল্পের (সিএফএস) অধীনে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার আরও ১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। এলওসি ও সিএফএস-এর অধীনে এ পর্যন্ত ভারত সরকার থেকে মোট অর্থায়নের পরিমাণ ৯.৪৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০২২
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।