ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সম্পাদকীয়

বিশেষ সম্পাদকীয়

বন্ধুত্বের অভূতপূর্ব নজির

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
বন্ধুত্বের অভূতপূর্ব নজির বিশেষ সম্পাদকীয়

সম্পর্ক হচ্ছে এক উত্তরীয়, যা বুনতে দু’পক্ষকে হাত লাগাতে হয়। দীর্ঘকাল বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্কটি এমন অনুকূল ছিল না। হীন রাজনৈতিক স্বার্থে এদেশের পাকিস্তানপন্থি একটি মহল সম্পর্কের পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছিল।

সদ্ভাবের বদলে ভারতবিরোধিতার অন্ধ জিকির তুলে এরা সস্তা ফায়দা লোটায় ব্যস্ত ছিল। এর ফলে সংলাপের, দেওয়া-নেওয়ার পথটি প্রায়-বন্ধ ছিল।

ক্ষতিটা হয়েছে বাংলাদেশেরই। কোনো ইস্যুতেই বরফ গলেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে অচলায়তন ভেঙ্গেছে। বাংলাদেশ-ভারত এখন সহযোগিতার নানাক্ষেত্রে জোরকদমে এগোচ্ছে। অনেক অমীমাংসিত ইস্যুর মীমাংসা হয়েছে। যেমন, ছিটমহল ইস্যুসহ নানা ইস্যুর শান্তিপূর্ণ মীমাংসা। বাদবাকিগুলোর মীমাংসার পথও উজ্জ্বল।

বাংলাদেশ-ভারতের একের কাছ থেকে অপরের নেবার ও দেবার আছে অনেককিছু। দু’দেশের কূটনীতি এখন সেপথেই এগোচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান ভারত সফরটির ঐতিহাসিক তাৎপর্যও তাই সীমাহীন। ভারত তাঁর এ-সফরকে যতোটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এককথায় তা অভূতপূর্ব, নজিরবিহীন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রটোকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে হাজির হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করেছেন। মোদির এই বিরল সৌজন্য প্রকাশে শেখ হাসিনাও ‘অভিভূত’। কেননা প্রটোকল অনুযায়ী ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বিমানবন্দরে থাকার কথা ছিলো না।

বাংলাদেশকে ভারত এখন কতোটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখে এটা তারই বহির্প্রকাশ। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবস্থান করছেন ভারতের রাষ্ট্রপতিভবনে। এ-ও এক বিরল সম্মান বটে। এছাড়া নয়াদিল্লির পার্ক স্ট্রিটের নাম বদল করে রাখা হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু সরনি'।  শেখ হাসিনার সম্মানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছুটে গেছেন নয়াদিল্লিতে। সব মিলিয়ে এক অভূতপূর্ব রাখীবন্ধনের পূর্বাভাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ-সফর। সম্পর্ক এবার নতুন পাল ওড়াক। নানা দিকে। নানা অমিত সম্ভাবনার দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
জেএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।