ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ‘কোড সামুরাই-আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় হ্যাকাথন ২০২২’ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘মাউন্টেইন ডিউ টিম।

এ প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্ট্রমস অ্যান্ড।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে টিএসসি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ‌  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে কাজ করে আসছে। আনন্দের বিষয় যে জাপান বাংলাদেশের যৌত অংশীদারিত্বে আজকের হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে।  

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ কত উজ্জ্বল হবে তা নির্ভর করছে আমরা আমাদের তরুণ প্রজন্মকে কতটুকু দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলাম তার ওপরে। সম্প্রতি আমরা উপলব্ধি করেছি বর্তমান বিশ্ববাজারে দক্ষ মানব সম্পদের যে চাহিদা তা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সনাতনী শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে পূরণ করতে পারছে না। এই চাহিদা পূরণ করতে হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া অংশীদারিত্বের প্রচলন করতে হবে। আমি মনে করি, আজকের এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা আমাদের সেলক্ষ্যে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে।  

ঢাবি উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন,  এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মেধা বিকশিত করবে না, এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য‌ টেকনোলজি সেক্টরে আবিষ্কার ও অংশীদারিত্বের এক বিরাট সুযোগ তৈরি করবে।  আজকের এই প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠতে হলে প্রযুক্তিতে দক্ষ ও সৃজনশীলতা বিকাশের কোনো বিকল্প নেই।

অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইছিগুছি তোমোহিতো বলেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হ‌ওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এটার জন্য আইটি সেক্টর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাইকা বাংলাদেশ বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে উন্নয়নের জন্য সহযোগিতা করবে।  

ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপান সফর করেছিলেন। যুদ্ধগ্রস্থ দেশকে ঘুরে দাঁড়াতে জাপানের সহযোগিতা ছিল অনন্য। জাইকার মাধ্যমে এখন সেই সহযোগিতা চলছে।

এই সময় তিনি জাইকার সঙ্গে ঢাবির অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।