ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষক নেতাদের হস্তক্ষেপে আন্দোলন স্থগিত ইবি শিক্ষার্থীদের

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
শিক্ষক নেতাদের হস্তক্ষেপে আন্দোলন স্থগিত ইবি শিক্ষার্থীদের প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

ইবি: শিক্ষক ও ছাত্রলীগ নেতাদের আশ্বাসে শ্রেণিকক্ষের দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।  

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে তারা আন্দোলন স্থগিত করেন।

পাশাপাশি তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে ফের আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

তবে আন্দোলন স্থগিত করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।  

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে কথা বলতে গেলে কোনো সমাধান দিতে পারেনি প্রশাসন। বরং তাদের ঠিকঠাক কথা না বলতে দিয়ে উল্টো মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এতদিন ভিসি স্যার আসার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তিনি আজকে (মঙ্গলবার) ক্যাম্পাসে আসার পর আশা নিয়ে গিয়ে হতাশ হয়েছে। তিনি আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেননি। সাক্ষাতের সময় কর্তৃপক্ষের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আমাদের কথাগুলো ভালো মতো বলতে দেওয়া হয়নি। উল্টো আমাদের মেন্টাল টর্চার করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দুইজন শিক্ষক প্রতিনিধি ও ইবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা আমাদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি। আমরা আগামীকাল (বুধবার) থেকে ক্লাসে ফিরবো। তবে আমাদের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়ন না হলে ফের আন্দোলনে ফিরবো।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ (চতুর্থ তলার উত্তর ও পূর্ব পাশ) বরাদ্দের দাবিতে গত বুধবার (১৮ জানুয়ারি) থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এ দাবিতে শনিবার (২১ জানুয়ারি) মানববন্ধন ও উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

উপাচার্য ক্যাম্পাসে না থাকায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান স্মারকলিপি নেন। মঙ্গলবার উপাচার্য ক্যাম্পাসে ফিরলে শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান না হলে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনেই শিক্ষার্থীরা অনশনের ঘোষণা দেন। পরে ১টার দিকে শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় এসে সমাধানের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।

শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। দাবির বিষয়ে আশ্বস্ত করে আমরা তাদের ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে বলেছি এবং তাদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছি। তারা আমাদের কথা মেনে নিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। ভবনটির চতুর্থ তলার কাজ সম্পন্ন হলে চাহিদা অনুযায়ী যেন তারা বরাদ্দ পায় এ বিষয়টি আমরা দেখবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ভবনটির চতুর্থ তলার কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঠিকাদার কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার পর ইকুয়িটির ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব কক্ষ বন্টন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।