ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানে রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধানে রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আবারও প্রত্নতত্ত্ব অনুসন্ধান শুরু করেছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় ও চর্তুথ আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।  

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের ক্ষীরতলা এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রত্নতাত্ত্বিক মো. রিফাত-উর-রহমানের তত্ত্বাবধানে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

 

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মো. রিফাত-উর-রহমান বলেন, ২০১৮ সাল থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা রায়গঞ্জ উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে আবারও অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। যেহেতু ক্ষীরতলায় প্রত্নস্থলগুলো এখনো সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখনন শুরু হয়নি।  

মো. রিফাত-উর-রহমান আরও বলেন, এ পর্যন্ত ১৪টি প্রত্নস্থল শনাক্ত করা হয়েছে এবং একই সঙ্গে সেসব প্রত্নস্থলের তথা, উপাত্তগুলো নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। যেহেতু রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহ আজম প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের বিষয়ে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন। সুতরাং ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধান শেষ করে আমরা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে উৎখননের মধ্য দিয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে ক্ষীরতলায় প্রত্নগুলো সর্ম্পকে স্পস্ট ধারণা পাব।

তিনি বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ফলক বিশেষত ধ্যানী বুদ্ধের ভূমি স্পর্শমুদ্রা সম্বলিত ফলকটির সঙ্গে পাহাড়পুরে প্রাপ্ত ভূমি স্পর্শমুদ্রা সম্বলিত পোড়ামাটির ফলকটির সদৃশ্য রয়েছে।

ক্ষীরতলা গ্রামের একটি বড় ঢিবিকে স্থানীয়রা বিরাট রাজার ঢিবি অভিহিত করেন। এছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রত্নবস্তু এবং প্রাচীন ইটের ধ্বংসাবশেষ। ষাটের দশকে বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক আবুল কালাম মো. জাকারিয়া ক্ষীরতলা প্রত্নস্থান সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রত্নসম্পদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছিলেন, যে ক্ষীরতলা বুরুজ থেকে গুপ্ত যুগের (আনুমানিক ৩০০ খ্রি.) মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।