ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দোকান কর্মচারী শাকিল  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩
জিপিএ-৫ পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় দোকান কর্মচারী শাকিল  

ময়মনসিংহ: এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে দোকান কর্মচারী মো: শাকিল মিয়া (১৭)। কিন্তু তার এই সফলতার উচ্ছ্বাস ক্ষণিকেই ম্লান হয়ে গেছে উচ্চ শিক্ষার দুঃশ্চিন্তায়।

এনিয়ে চিন্তার ভাজ তার চোখেমুখে।

শাকিল মিয়া ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এই ফলাফল অর্জন করে। সে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার আঙ্গারুয়া গ্রামের মো: হাসিম উদ্দিনের ছেলে।

গত তিন বছর ধরে সে ময়মনসিংহ শহরের অলকা নদী বাংলা মার্কেটের এল.কে কম্পিউটার সেলস অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের দোকান কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থেকে লেখাপড়ার খরচ জুগিয়েছে।

এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তার খালাতো ভাই ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক কাউছার আহম্মেদ লিয়ন।          

শাকিল মিয়া জানায়, ছোটবেলা থেকেই মায়ের সঙ্গে আঙ্গারুয়া গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে বড় হয়েছি। বাবা থেকেও যেন নেই। সেখানে অনেক কষ্ট করে স্থানীয় বাশঁহাটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২০ সালে এসএসসি পাস করেছি। এরপর কলেজে ভর্তি হয়েছি খালাতো ভাই কাউছার আহম্মেদ লিয়নের সহযোগিতায়। এখন আমি তার দোকানেই কাজ করি।  

শাকিল আরও জানায়, এইচএসসি পাশ করার খবরে মা অনেক খুশি হয়েছেন। কিন্তু উচ্চ শিক্ষার খরচ জোগাড় করা আমার জন্য অনেক কষ্ট সাধ্য বিষয়। তবুও আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চাই। জানি না এই স্বপ্ন আমার পূরণ হবে কিনা।  

এবিষয়ে কাউছার আহম্মেদ লিয়ন বলেন, ছোটবেলা থেকেই কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে শাকিল। আমিও চাই সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ভালো কিছু করুক। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে অনেক খরচ, এটা নিয়েই এখন দুশ্চিন্তা। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শাকিলের পাশে দাঁড়ালে হয়ত ভবিষতে সে লেখাপড়া করে দেশের জন্য কিছু করত পারত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।