ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া): ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগ নেত্রীর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় এবার তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের নির্যাতিত ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী (শিক্ষাবর্ষ ২০২১- ২০২২) এবং ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার (অভিযুক্ত) কাছ থেকে পাওয়া দুটি অভিযোগ জরুরি ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক একটি প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়ার জন্য উপাচার্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন।
কমিটিতে আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলকে আহ্বায়ক এবং একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মো. আলীবদ্দীন খানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম। কমিটিকে আগামী ৭ (সাত) কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক নবাগত ছাত্রীকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠে।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। এ সময় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রীরা তাকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
পরদিন সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ওই ছাত্রী। এ ঘটনার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত দিয়েছে ভুক্তভোগী ছাত্রী। অপরদিকে সিনিয়রদের সঙ্গে বেয়াদবি ও বহিরাগতদের দিয়ে হুমকির শাস্তির চেয়ে নির্যাতিত ছাত্রীর বিরূদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩
এমএমজেড