ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

১৩ বার মেধাতালিকা প্রকাশ, তবু বশেমুরবিপ্রবির ৯০ আসন ফাঁকা          

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
১৩ বার মেধাতালিকা প্রকাশ, তবু বশেমুরবিপ্রবির ৯০ আসন ফাঁকা 

        

গোপালগঞ্জ: আসন ফাঁকা থাকায় গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এখনও শেষ করতে পারেনি। ফাঁকা আসন পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১৩ বার মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে।

ওই তালিকার শিক্ষার্থীদের ২২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অফিসে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।  

ওই দিনই শূন্য আসনগুলোর বিপরীতে নির্বাচিতদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

জিএসটিভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মধ্যে ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষা গত বছর ৩০ জুন, ‘বি’ ইউনিটের ১৩ আগস্ট ও ‘সি’ ইউনিটের ২০ আগস্ট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৪ আগস্ট ‘এ’ ইউনিট, ১৬ আগস্ট ‘বি’ ইউনিট ও ২৩ আগস্ট ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করে জিএসটি কর্তৃপক্ষ।  

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রথম মেধাতালিকায় এক হাজার ৩৫৫ জনের নাম প্রকাশ করা হয়। ওই দিন থেকেই ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই তালিকা থেকে ভর্তি হয়েছেন ৬৭৪ জন। এরপর আরও ১১টি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরও ৯০টি আসন ফাঁকা থাকায় ১৩ বারের মতো মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান অনুষদে ৭৯টি, মানবিক ও বাণিজ্য অনুষদে ১১টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোটাসহ মোট আসন ১৫০৫টি। আর কোটা ছাড়া আসন ১৩৭৯টি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, পুরোনো ও নাম করা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করেছেন। তারা মনে করছেন, ওই সব বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার পরিবেশ ভালো ও উন্নত। কিন্তু আমরা মনে করি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া ও গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কোনো অংশে কম নয়। তবে আমরা আশা করছি নতুন তালিকা থেকে শূন্য আসন পূরণ হয়ে যাবে।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, আবাসন ও ক্লাসরুম সংকট রয়েছে। আর নতুন হওয়ায় এখানে গবেষণার পরিবেশও সীমিত। তাই শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখানকার ভর্তি বাতিল করছেন।

ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে। ১৩তম মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকা থেকে এসব শূন্য আসন পূরণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।