ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের শূন্য পদে দ্রুত পদোন্নতি চাই 

মো. ওমর ফারুক, অতিথি লেখক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকদের শূন্য পদে দ্রুত পদোন্নতি চাই 

নতুন কারিকুলামের সফল বাস্তবায়ন এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি মাধ্যমিকে নিয়মিত পদোন্নতি অব্যাহত রাখা অত্যন্ত জরুরি। আর তাই, আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে সরকারি মাধ্যমিকে যে যে পদে পদোন্নতি জরুরি, তা দিতে হবে।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার শিডিউলভুক্ত বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে ১৯৯৮ সালে ও ২০০৫ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে নবম থেকে ষষ্ঠ গ্রেডে একটি মাত্র পদোন্নতি নিয়ে (যদিও তাদের মধ্যে অধিকাংশ কর্মকর্তাই পঞ্চম ও চতুর্থ গ্রেডের আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন) দীর্ঘ ২০ বছরের অধিককাল যাবত কোনো প্রকার পদোন্নতি ব্যতীত একই পদে (প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা) কর্মরত রয়েছেন! তাদেরকে বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস-১৯৮০ এর আলোকে ষষ্ঠ গ্রেড থেকে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সিডিউল ভুক্ত কলেজ ব্রাঞ্চ এবং স্কুল এন্ড ইনস্পেকশন ব্রাঞ্চের অর্থাৎ উভয় ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সমন্বিত মেধা তালিকা প্রস্তুত পূর্বক ঊর্ধ্বতন পদসমূহে ন্যায্য হিস্যা মোতাবেক দ্রুততম সময়ের মধ্যে পদোন্নতি প্রদানের উদ্যোগ নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

যে সকল সম্মানিত সহকারী প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ শর্ত ভঙ্গ করেননি; তাঁদেরকে দ্রুত প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা ও জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদোন্নতি প্রদান করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব মহোদয় ও মাউশির মহাপরিচালক মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।  

দীর্ঘদিন পর (যেহেতু ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট তারিখে রাষ্ট্রপতির গেজেট ছিল, অথচ পদোন্নতি হল ২০২১ সালের ৩০ জুন!) যাঁরা সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্য থেকে যারা অধিকতর জ্যেষ্ঠ (উল্লেখ্য, জ্যেষ্ঠতার ক্ষেত্রে ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত সম্মানিত শিক্ষকগণের মধ্যে যারা সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তাঁদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে) এবং শর্ত পালনকারী, তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক/ শিক্ষিকা ও সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি/ পদায়ন প্রদানের জন্য (যে বিবেচনাই হোক এমনকি প্রয়োজনে দ্রুত বিধি সংশোধন পূর্বক হলেও ) বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি।

সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষকদের মধ্যে যে সকল শিক্ষকমণ্ডলী ইতোমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার শূন্যপদে বদলি ভিত্তিক পদায়নের জন্য আবেদন করেছেন; তাদেরকে অনতিবিলম্বে (সময়ক্ষেপণ না করে) আবেদিত পদে পদায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাথে সাথে সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রায় ১৭০০ সহকারী শিক্ষককে (যাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ শত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিক্ষক ও পদোন্নতিবঞ্চিত রয়েছেন!) সিনিয়র শিক্ষক পদে আগামী ২৬ মার্চ ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখের মধ্যে পদোন্নতি প্রদানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। দুঃখজনক যে, পদোন্নতির সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মুজিববর্ষে পদোন্নতি বঞ্চিত থেকে গেলেন এই সেক্টরে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং বর্তমান সরকারের মেয়াদকালে ২০১১ ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত তরুণ প্রজন্মের এই মেধাবী প্রতিভাবান এবং কর্মঠ শিক্ষকগণ! যা জাতির জন্য সত্যিই হতাশার! 

আগামী ২৬ মার্চের মধ্যে তাঁদের পদোন্নতি না হলে এই ব্যাচে নিয়োগপ্রাপ্ত সম্মানিত শিক্ষক সহকর্মী গণের মাঝে বিদ্যমান পুঞ্জিভূত অসন্তোষ সহসা দূর হবে বলে আমরা মনে করি না! সুতরাং এখনই সিনিয়র শিক্ষকের বিদ্যমান শূন্য পদে পদোন্নতির যোগ্য অথচ পদোন্নতি বঞ্চিত ২০১০ (অংশ) এবং ২০১১ ব্যাচের সকল সহকর্মীর পদোন্নতি নিশ্চিত করুন।

বিষয়গুলির প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহোদয়, মাননীয় শিক্ষা সচিব মহোদয়, মাউশি'র মান্যবর মহাপরিচালক মহোদয় ও পরিচালক (মাধ্যমিক) মহোদয় এবং সর্বোপরি শিক্ষা বান্ধব সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।

মাধ্যমিক শিক্ষায় গতি সঞ্চার করতে বিষয়গুলির আশু ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি বলে সরকারি মাধ্যমিকে কর্মরত শিক্ষকগণ মনে করেন।

লেখক: মো. ওমর ফারুক, সহকারী শিক্ষক (বাংলা), সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা।

সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস), খুলনা জেলা কমিটি; খুলনা।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।