ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বন্ধু-বান্ধব, সিনিয়র-কিংবা জুনিয়র। সবাই মিলে রমজান মাস এলেই দলবদ্ধভাবে ইফাতারির আয়োজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের খুবই সাধারণ চিত্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সুর্য সেন হলে ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে সাতটি দোকান। যেখানে ছোলা, মুড়ি, জিলাপি, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম চপ, নুডলস, বুরিন্দা রয়েছে। সর্বনিম্ন ছোলা ১৫-২০ টাকার, মুড়ি ১০ টাকার প্যাকেট, জিলাপি পাঁচ টাকা হলেও আকার নেমে এসেছে অর্ধেকে। এছাড়া শসা, লেবু, পেয়াজ মরিচ সবকিছুর দাম বেড়েছে দ্বিগুন। লেবু ১০ টাকা, একটা শসা ১০ টাকা, পেঁয়াজ মরিচ ১০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। এছাড়া আনারস, কলা ও তরমুজ বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে অন্য সময় যে আনারসের টুকরো ১০ টাকা রাখা হতো সেটির আকৃতি ছোট করা হয়েছে। তরমুজ প্রতি ফালি বিশ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলেও চারটি দোকান, বিজয় একাত্তর হলের সামনে সাতটি দোকান শিক্ষার্থীদের কাছে ইফতারি বিক্রি করছে। যেখানে চিকেন টিকা, চপসহ নানা আইটেম বিক্রি হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আগে আমরা ৪০-৫০ টাকার মধ্যে ভালোভাবে ইফতারি সারতে পারতাম। এবছর সেটা করতে আমাদের একশ টাকার মতো লাগছে। তাও অনেক কিছু তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, এ বছর ইফিতারির সব আইটেমের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। এজন্য খুবই সাধারণভাবে ইফতারি করবো ভেবেছি। পরে ক্যান্টিনে রাতের খাবার খাবো। না হয় এ মাসে খরচ কুলিয়ে ওঠতে পারবো না।
দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা সোহাগ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আসলে কি করবো। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়তি। ছাত্রদের জন্য আমাদেরও খারাপ লাগে। এজন্য আমরা সীমিত লাভ করে সব বিক্রি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
এসকেবি/এসএ