ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের ৮ দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের ৮ দাবি

ঢাকা: শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ বাজেটে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের অভুক্ত কিংবা দুরাবস্থায় রেখে আদর্শ জাতি গঠন সম্ভব নয়। আমরা আশা করি এদেশের বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারও যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা তথা ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করা।

স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের দাবিগুলো হলো—
১) অবিলম্বে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি সর্বজনীন বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

২) আসন্ন ঈদের পূর্বেই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সমপরিমাণ করতে হবে।

৩) অতিদ্রুত বিভিন্ন বোর্ড কর্তৃক যথাযথ নিয়মে এফিলিয়েশনপ্রাপ্ত সকল স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান সমূহ এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে হবে।

৪) সরকারের স্বদিচ্ছা বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা প্রশাসন, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাউশিসহ বিভিন্ন অধিদপ্তর, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

৫) সকল শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ডিভাইস, খাতা কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী প্রদান ও মাধ্যমিক পর্যায়ে (মাদরাসা, কারিগরি) শিক্ষার্থীদের সরকারি উদ্যোগে দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) শূন্য পদের বিপরীতে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলির ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

৭) অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের দুর্দশা লাঘবে শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর বোর্ডের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করতে হবে।

৮) ব্যবস্থাপনা কমিটিতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিদের অন্তর্ভূক্ত এবং স্কুল পর্যায়ে নুন্যতম ডিগ্রি পাস ও কলেজ পর্যায়ে নূন্যতম মাস্টার্স পাস স্বচ্ছ ইমেজ সম্পন্ন ব্যক্তিদের মনোনয়ন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাশিপ সহ-সভাপতি প্রফেস মো. সাজিদুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান পান্না, সহ-সভাপতি মেহেরুন্নেছা, বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা, স্বাধীনতা মাদ্রাসা শিক্ষক পরিষদ সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তেলোয়াত হোসেন খান, বাংলাদেশ প্রধান শিক্ষক পরিষদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম ওবায়দুল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
ইএসএস/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।