ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবিতে উচ্চশিক্ষা স্কলারশিপ ও ভর্তি বিষয়ক কর্মশালা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০২৩
খুবিতে উচ্চশিক্ষা স্কলারশিপ ও ভর্তি বিষয়ক কর্মশালা

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ ও ভর্তির সুযোগ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

 

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হলো দেশপ্রেমিক দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের বিষয়ও জড়িত। মেধাবী শিক্ষার্থীরা ছাত্র অবস্থা থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এজন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেতে যা যা প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই নিজেকে সেভাবে দক্ষ করে তুলতে হয়।

তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবাই উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী। বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে তাদের দেশে ফিরে আসা উচিত। কেননা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একজন গ্রাজুয়েট তৈরিতে দেশের অনেক অর্থ ব্যয় হয়। সরকার শিক্ষার্থীদের পেছনে সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা ব্যয় করে। এর সঙ্গে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাও জড়িত। ফলে দেশের মানুষের প্রতি শিক্ষার্থীদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। এজন্য উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশে ফিরে এসে মানুষের কল্যাণে সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করা উচিত।

উপাচার্য তার শিক্ষাকালের উচ্চশিক্ষার নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যার বিষয় তুলে ধরে বলেন, সেই সময়ের অবস্থা থেকে এখনের পরিস্থিতি অনেক আলাদা। দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন মুহূর্তের মধ্যে বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে জানা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও উচ্চশিক্ষার বিষয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে। যা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ আরও সুগম করবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ও ছাত্রীর অনুপাত এখন প্রায় কাছাকাছি। ছাত্রদের পাশাপাশি ছাত্রীদেরও উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আরও আগ্রহী হওয়া প্রয়োজন। কেননা শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষিত মায়ের কোনো বিকল্প নেই।

উপাচার্য বলেন, বর্তমান সরকার মনে করে- শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে এখন সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও যাতে আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণার মান বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে প্রত্যেক ডিসিপ্লিনের মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীদের গবেষণা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় একটি অবস্থান তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এমন একটি কর্মশালা আয়োজনের জন্য আইকিউএসির পরিচালক, অতিরিক্ত পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।

আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মতিউল ইসলাম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মো. নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। এ সময় কর্মশালার টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনাকারী রিসোর্স পারসনরা, অংশগ্রহণকারী আন্ডারগ্রাজুয়েট ৪র্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। রিসোর্স পারসন হিসেবে সেশনগুলো পরিচালনা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. অরুণ বোস, যুক্তরাষ্ট্রের বোইস স্টেট ইউনিভার্সিটির ড. সালেহ আহমেদ, ইউটোকিও স্টাডি ইন জাপান প্রজেক্ট’র পরিচালক ড. সৈয়দ এমদাদুল হক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. তানজিল সওগাত, একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. আহসানুল কবীর।

কর্মশালায় ফিডব্যাক গ্রহণ করেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২৩
আরআইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।