ঢাকা, সোমবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবির গণরুম থেকে তুলে নিয়ে ২ ছাত্রকে মারধর

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
জাবির গণরুম থেকে তুলে নিয়ে ২ ছাত্রকে মারধর অভিযুক্ত ফয়সাল মারুফ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রথম বর্ষের ২ ছাত্রকে গণরুম থেকে তুলে নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ৫০ ব্যাচ) ফয়সাল মারুফের বিরুদ্ধে। তিনি এর আগেও সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে হলের বি ব্লকের ৩৫১ (১/২) নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের (৫১ ব্যাচ) ছাত্র ইমরান ও আইন ও বিচার বিভাগের মাহবুবুল ইসলাম পিকুল।

জানা গেছে, কয়েকদিন আগে ৫০ ব্যাচের ছাত্র মারুফ ও রাকিব ভুক্তভোগী ইমরানকে ডেকে নিয়ে ‘সেক্রেটারির গ্রুপে কারা রাজনীতি করতে চায়’ তাদের তালিকা দিতে বলেন। কিন্তু তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও তিনি কোনো সাড়া না দেওয়ায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাকে ডেকে ৩৫১(১/২) নম্বর কক্ষে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন মারুফ।

মারুফকে ওই কক্ষে রড নিয়ে ঢুকতে দেখা যায়। ঘটনার সময় সেখান থেকে চিৎকার চেচামেরির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, প্রভোস্ট কমিটির সদস্যরা গণরুমে গেলে তাদের ভুক্তভোগীর কাছ থেকে শোনা ঘটনার বর্ণনা তার একাধিক সহপাঠী করেন।

নাম প্রকাশ না করা ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এক ছাত্র জানান, ঘটনার সময় তিনি গণরুমে ছিলেন। মারুফ গণরুমের দরজায় লাথি মেরে নিয়ে ইমরানকে ডেকে নিয়ে যান। প্রথমে তাকে হলের ছাদে নিয়ে পেটানো হয়। পরে ৩৫১ (১/২) নম্বর রুমে নিয়ে আবারও রড দিয়ে মারধর করা হয়। মারুফ প্রায়ই কোনো কারণ ছাড়াই জুনিয়রদের চড়-থাপ্পড় ও গায়ে জুতা ছোড়েন।

ভুক্তভোগী ইমরান বলেন, সিনিয়ররা আমাদের গণরুমে থাকা শিক্ষার্থীদের নামের লিস্ট করতে বলে। কিন্তু এ কাজে দেরি হলে তারা আমাদের রুমে ডেকে নিয়ে বকাঝকা করেন। তবে আমাদের মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভুক্তভোগী মাহবুবুল ইসলাম পিকুলও রড দিয়ে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এসময় হল প্রভোস্ট, প্রক্টর ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগীরা মার খাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাদের অনেক সহপাঠী বলছেন, ফের মারধর করা হতে পারে, এ ভয়ে ইমরান ও পিকুল বিষয়টি এড়িয়ে গেছে। ৩৫১(১/২) রুমের বিছানায় একটি রড পাওয়া গেছে, যেটি দিয়ে তাদের মারধর করা হয়।

এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মারুফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাকে হলে পাওয়া যায়নি। ফোনও বন্ধ।

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সাব্বির আলম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমি হলের প্রভোস্টের ফোন পেয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে প্রক্টরিয়াল টিম নিয়ে গণরুমে যাই। অভিযুক্ত কাউকেই খুঁজে পাইনি। হলের প্রভোস্টকে দ্রুত তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে অনুরোধ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৫, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।