ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

‘প্রভাবশালীরা’ একাধিক পদে

রহমান মাসুদ ও আব্দুল্লাহ আল মামুন খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১২
‘প্রভাবশালীরা’ একাধিক পদে

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নানা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ডুবে আছে ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানের এসব অনিয়ম তুলে আনতে সরেজমিন অনুসন্ধানে যায় বাংলানিউজ।

  সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট রহমান মাসুদের অনুসন্ধানে আজ পড়ুন ৩য় পর্বের ২য় কিস্তি

ঢাকা: ময়মনসিংহের ত্রিশালের কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভাইস চ্যান্সেলর) অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পদে থেকেও তিনি একই সাথে কলা অনুষদের ডিন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) অধ্যাপক ড. আবুল বাশারও একই সাথে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য অনুষদের ডিন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবহন বিভাগের দায়িত্বে আছেন।

তাদের অনুগত আরো দু’শিক্ষক রয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে। এসবের পাশাপাশি ‘কনিষ্ঠ’ হয়েও রাতারাতি পদোন্নতি পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে আরো দু’শিক্ষিকা’র বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদটি একটি অবৈতনিক পদ যা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১২ এর (১) অনুচ্ছদে বলা হয়েছে। এরপরেও তিনি আরো দু’টি লাভজনক পদে রয়েছেন।

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধির ১৭ (২) ধারা অনুসারে এক ব্যক্তি একাধিক লাভজনক পদে থাকতে পারবেন না। ’ অথচ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাবশালীরা এ অ্যাক্টের লঙ্ঘন করেছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষকের অভিযোগ, উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের মতো ড. হাবিবুর রহমান ৩ টি লাভজনক পদ দখল করে রেখেছেন। তার কব্জায় রয়েছে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের পদ। তবে ড. হাবিব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বাংলানিউজের কাছে পাঠানো  লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নৈতিক স্খলনের ঘটনা ঘটানোর পর সাবেক প্রক্টর এ.কে.এম সামছুদ্দিন চৌধুরীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি  দেওয়ার কারণে আমাকে প্রক্টর এবং ডিনের কোটায় সিন্ডিকেট সদস্য হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । এরই মধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ০৫/০৬/২০১২ ইং তারিখে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। সেই হিসাবে আমি ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য নই, এছাড়াও গত ০৬/০৬/২০১২ ইং তারিখে লোকপ্রশাসন ও সরকার বিভাগে শামিমা আক্তারকে বিভাগীয় প্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ’’

নাট্যকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পদের পাশাপাশি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন রুহুল আমিন। ড. বিজয় ভূষণও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়াও ছাত্রদের একমাত্র আবাসিক হল ‘অগ্নিবীণা’র প্রভোস্ট।

এদিকে উপাচার্য হয়েও অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ নিজেই কলা অনুষদের ডিন পদে রয়েছেন। অথচ এ অনুষদে দুইজন অধ্যাপক ও তিনজন সহযোগী অধ্যাপক রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ``কয়েকজন শিক্ষক একাধিক পদ দখলে রেখেছেন। এতে করে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করা হচ্ছে। ``

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ও বাংলা বিভাগের দু’জন নারীশিক্ষক প্রভাষক পদ থেকে রাতারাতি ‘পদোন্নতি’ পেয়ে সহকারী অধ্যাপক পেয়ে গেছেন। এ দু’জন হচ্ছেন রায়হানা আক্তার ও মার্জিয়া আক্তার।   মাত্র ১৪ মাস চাকরি করে জ্যেষ্ঠদের ডিঙিয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হয়েছেন রায়হানা আক্তার।

অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী কেলেংকারী ধামাচাপা দিতে রায়হানা ঢাকা থেকে একটি প্রভাবশালী দৈনিকের প্রতিবেদককে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে এবং আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে প্রতিবেদন তৈরি করান। এর পুরস্কার হিসেবে তাকে লেকচারার পদ থেকে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক করা হয়।

অন্যদিকে মার্জিয়া আক্তার বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুদ্দিন চৌধুরীর ‘কাছের মানুষ’ হওয়ার সুবাদে একইভাবে ‘পদোন্নতি’ পেয়েছেন। এ শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দোলনচাঁপা’ হলের প্রভোস্ট। অধ্যাপক ড. শামসুদ্দিন এবং এ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ‘নৈতিক স্খলনের’ও অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও মার্জিয়া বেঁচে গেছেন `পরিস্থিতির শিকার` হিসেবে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নিজের পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, ``ওই দু’নারী শিক্ষিকার শিক্ষকতার বয়স ৩ বছর না হতেই রাতারাতি তারা পদোন্নতি ভাগিয়ে নিয়েছেন আগেভাগেই। ’

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয় না সিন্ডিকেট সভাও। প্রতি তিন মাসে একটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও ৫ মে শেষ সভা হয়েছে। অথচ নতুন সভার কোনো খবর নেই। যখন কোনো সভা হয়, সেসব সভায় সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয় না ভিসির মৌখিক নির্দেশে। যেমন ২৯ জুলাই ২০১০ এর সভায় এমন নির্দেশেই অনুপস্থিত ছিলেন, ড. হাবিব, ড. সুব্রত ও রেজিস্ট্রার আমিনুল ইসলাম।

শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ:
এক বছর সন্তোষজনকভাবে চাকরি করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি কনফার্ম করার বিধান থাকলেও কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি কনফার্ম করছে না। চাকরি কনফার্ম করা হয়েছে মাত্র হাতেগোণা ক`জন শিক্ষককে । এরই মধ্যে অনেক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি ৩ বছরের অধিক হওয়া সত্ত্বেও এ কনফার্মেশন না হওয়ায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ বিরাজ করছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করে এসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কনফার্মেশন করা হলে তাদের উপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন কর্তৃত্ব থাকবে না। এ ভয়েই তারা এদের কনফার্মেশন দিচ্ছে না।

গত ৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভায় এ নিয়ে বেশিরভাগ শিক্ষকই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সভায় এ বিষয়ে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানানোর কথা জানানো হয় এবং বাস্তবায়ন করতে চাপ প্রয়োগের কথা বলা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছেন ৩ কর্মকর্তা!
কোষাধ্যক্ষ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আর ডেপুটি রেজিষ্ট্রার চালাচ্ছেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের পরামর্শেই সিন্ডিকেটের সদস্য নিয়োগ ও শিক্ষকদের প্রতি বৈষম্যসহ নানাবিধ কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন।

এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভের। তাদের ‘দণ্ডমুণ্ডের কর্তা’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের অভিযোগ, এ তিনজনেরই ব্যাকগ্রাউন্ড বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এ তিনজনেই মিলেমিশে বিশ্ববিদ্যালয়কে কৌশলের করতলে ফেলে ‘অস্থির’ করে রেখেছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশার ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নির্মল চন্দ্র সাহা বাকৃবি’র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সেকশন অফিসার সমতুল্য) আর ডেপুটি রেজিষ্ট্রার হুমায়ুন কবির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ইদানিং এদের সাথে যুক্ত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নজরুল ইসলাম, সহকারী রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান। এর মধ্যে আনিসুর রহমান বাকৃবি’র ছাত্র ছিলেন। তিনি তেমন দাপট না দেখালেও রাতারাতি প্রভাবশালী বনে গেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নজরুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের ‘ভিত’ আরো মজবুত করতে এদের ‘ব্যক্তিগত উৎসাহে’ আগের সিন্ডিকেট সদস্যদের মেয়াদ না বাড়িয়ে বাকৃবি থেকে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দু’ সিন্ডিকেট সদস্য নেওয়া হয়। এরা হচ্ছেন-বাকৃবি’র ভেটেরেনারি অনুষদের ড. শাহী আলম ও কৃষি অর্থনীতি অনুষদের অধ্যাপক আব্দুর রহমান।
 
তাদের অভিযোগ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.আবুল বাশার, ডেপুটি রেজিষ্ট্রার হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নির্মল চন্দ্র সাহা, উপ-পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) নজরুল ইসলাম, দু’ সিন্ডিকেট সদস্য ড. শাহী আলম ও অধ্যাপক আব্দুর রহমান মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গঠন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত এ সিন্ডিকেটই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদকে ‘পরিচালনা’ করেন। উপাচার্য এদের কথার বাইরে যান না।
 
এদিকে, কর্তব্য অবহেলা ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার পদ থেকে আমিনুল ইসলামকে অস্থায়ীভাবে বরখাস্ত করে রেজিষ্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় ডেপুটি রেজিষ্ট্রার হুমায়ুন কবিরকে। এ বরখাস্তকে চ্যালেঞ্জ করে আমিনুল ইসলামও হাইকোর্টে রিট করলে তার বরখাস্তের আদেশও চার মাসের জন্য স্থগিত করে এবং স্বপদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাকে এখনো দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, এটা স্পষ্ট কনটেমপট অব কোর্টে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তোয়াক্কা না করে ডেপুটি রেজিষ্ট্রারকে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
 
অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. নির্মল চন্দ্র সাহা কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত থাকেন বলে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুসারে একজন শিক্ষক প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানের ওই বোর্ডে থাকার কথা থাকলেও উপাচার্যকে ‘ম্যানেজ’ করে তিনি ওই বোর্ডে উপস্থিত থাকায় শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধানরা প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
 
এ বিষয়ে বেশ কয়েজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক বলেন, ‘নির্মল চন্দ্র সাহা’র সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করে রেখেছে। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিয়োগ বোর্ডে থাকার পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্পর্কে উপাচার্যকে ভুল তথ্য দিয়ে তাদের বিপাকে ফেলেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিকভাবে চলতে পারছে না। দ্বন্দ্ব-অসন্তোষ ধূমায়িত হচ্ছে সর্বত্রই। ’

যদিও অভিযুক্তরা একযোগে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগকে ``ষড়যন্ত্র`` বলে দাবি করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১২
সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর: জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর  [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।