ঢাকা, শনিবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ জুন ২০২৪, ১৪ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

জাবির পুকুরপাড়ে ডেকে জুনিয়রদের র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগ

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
জাবির পুকুরপাড়ে ডেকে জুনিয়রদের র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়র (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের (৫১ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে র‍্যাগ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রথম বর্ষের (৫২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাব সংলগ্ন পুকুরপাড়ে (ভিসি পুকুর) এ ঘটনা ঘটে।

পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

অভিযোগ ওঠে, ঘটনাস্থলে ৫২ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে এক জায়গায় জমা রেখে তাদের সঙ্গে অসদাচার করেন ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত ৫১ ব্যাচের শরিফুল ইসলাম সরল, বাঁধন বিশ্বাস, মেহেদী হাসান (আবির), শিপন বিশ্বাস, মাসুম বিল্লাহ, দীপন রয়, জানিব হাসান মাটিয়া, সাজিয়া জাহান সিজা এবং সাদনান নিদ্রা এবং ৫২ ব্যাচের তানভীর, সায়েম, শুভজিৎ, স্বপন, রনি, রিফাত, শামীম, জুবায়ের, শেনন ও আরিফ।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, র‍্যাগিংয়ের তথ্য পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। এরপর ৫১ ও ৫২ ব্যাচকে আলাদা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, ক্রিকেট খেলার বিষয়ে কথা বলার জন্য ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের ওখানে ডেকে নিয়ে গেছে। সেখানে ৫২ ব্যাচের সবার মোবাইল ফোন আলাদা করে এক জায়গায় রাখা ছিল। কিন্তু সেখানে ডেকে নিয়ে যাওয়া এবং সবার মোবাইল ফোন জমা নেওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই অন্য উদ্দেশ্য ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী শিপন বিশ্বাস বলেন, সেখানে আমাদের ব্যাচের মেয়েরাও ছিল। আসলে র‍্যাগিংয়ের কোনো বিষয় ছিলো না। আগামীকাল থেকে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাবে এবং তার পরে আমাদের ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ম্যাচ আছে। সে বিষয়ে কথা বলার জন্যই ৫২ ব্যাচকে ডাকা হয়েছিল।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মনির উদ্দিন শিকদার জানান, এ বিষয়ে সিন্ডিকেটে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসন সবসময় র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে প্রশাসন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। এ কারণে তুলনামূলকভাবে র‍্যাগিং কমেছে। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে কিছু জায়গায় এমন ঘটনা ঘটছে। আজকেও ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম বলেন, কেউ অপরাধ করে থাকলে অবশ্যই তাকে শাস্তি পেতে হবে। র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেন অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনে সেই ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।