ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালিত

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২

ঢাকা: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে  পালিত হয়েছে ‘কালো দিবস’। ২০০৭ সালের ২০ থেকে ২৩ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের অমানবিক, বেদনার্ত ও নিন্দনীয় ঘটনা স্মরণে দিবসটি পালন করা হয়।



প্রতি বছর ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কালো দিবস’ পালন করা হয়। এ বছর পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অফিস বন্ধ থাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার দিবসটি পালন করা হলো।

তবে এবারের কালো দিবসের অনুষ্ঠানে তৎকালীন সেনা সদস্য ও পুলিশের নির্মম নির্যাতিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাউকে দেখা যায়নি।

দিবসটি পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এর মধ্যে ছিল- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কালো ব্যাজ ধারণ, বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস স্থগিত রাখা এবং আলোচনা সভা।

দুপুরে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক  ড. নাসরীন আহমাদ, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক, অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন মোল্যা, অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন।

আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ রেজাউর রহমান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট সংঘটিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ ঘটনার পেছনে কারা জড়িত ছিলেন, তা সনাক্ত করতে হবে এবং দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। ”

তিনি বলেন, “অপরাধীদের বিচার হলে পরবর্তীতে কেউ আর অপরাধ করার সাহস পাবেন না। ”

উপাচার্য অন্ধকার ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সর্বদা সত্য কথা বলার সাহস সঞ্চার করতে হবে। ’’

সেদিনের সেই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সাহসী ভূমিকা পালনকারীদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ফুটবল খেলা দেখার সময় কয়েকজন সেনা সদস্য ছাত্রদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ছাত্র সমাজ বিক্ষুব্ধ আন্দোলন গড়ে তোলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে এবং ২৩ আগস্ট রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষক এবং বেশ কিছু ছাত্রকে গ্রেফতার করে নির্যাতন চালায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১২
এমএইচ/ সম্পাদনা: কাজল কেয়া, নিউজরুম এডিটর ও অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।