ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

শিক্ষা

থমথমে আনন্দ মোহন কলেজ, হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
থমথমে আনন্দ মোহন কলেজ, হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা 

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন সরকারি কলেজের হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের  সংর্ঘষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কলেজের হল।

এছাড়া বর্তমানে ওই শিক্ষাঙ্গনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

গতরাতে অনির্দ্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করে ১৩ জানুয়ারি সকাল ৮টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ। সে সঙ্গে আগামী ৩দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় কলেজের শ্রেণি কার্যক্রম। ফলে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হল ছাড়তে শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তায় নিয়োজিত কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আমরা সর্তক অবস্থানে আছি। আশা করছি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা আর হবে না।

এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ বলেন, হল সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের একটি টিম হলে যাচ্ছে, তারা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে হল থেকে বের করার চেষ্টা করছি। আশা করছি শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে দেবে।  

ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন 

এদিকে গতরাতে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মর্ধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলকে অহেতুক জড়ানোর প্রতিবাদে কলেজ ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।  

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, গতকাল অধ্যক্ষকের কক্ষে হলের সিট নবায়ন নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিং চলছিল। এ সময় হলের শিক্ষার্থীরা এসে কলেজ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সিনিয়র শিক্ষকদের ক্ষমা চাইতে বলে। বিষয়টি জানতে পেরে ছাত্রদলসহ কলেজের সব ক্রিয়াশীল সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে হলের শিক্ষার্থীরা হামলা করে অধ্যক্ষের কক্ষে জুতা নিক্ষেপ করে। মূলত এ ঘটনার জের ধরেই শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ ঘটে। এতে শিক্ষার্থী জুবায়ের, বিজয়, মেহেদী, জুবায়েরসহ আরও অনেকেই আহত হয়।

এ সময় ছাত্রদল নেতারা ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে বলেন, হলে মেয়াদোর্ত্তীণ কোনো শিক্ষার্থী থাকতে পারবে না, অবৈধ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের চিহ্নিতদের বের করতে হবে, হলে ৫ আগস্টের পর যারা অবৈধভাবে উঠেছে তাদের নবায়ন করা যাবে না এবং নবায়ন ফি ৬৫০০ টাকা থেকে ৫৫০০ টাকা করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজ ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।   

প্রসঙ্গত, গতকাল রোববার বিকেল ৫টার দিকে হলের সিট বরাদ্দের নবায়ন ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের দুইটি পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। এ সময় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।