রাঙামাটি: রাঙামাটি মিনি চিড়িয়াখানার স্থানে জেলা পরিষদ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এসময় উপদেষ্টা বলেন, আমার ফার্স্ট এজেন্ডা হচ্ছে ‘কোয়ালিটি এডুকেশন’।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় কলেজটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময় এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
চিড়িয়াখানায় কলেজ নির্মাণ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, আমাদের বিনোদনের অনেক এলাকা আছে। এখানে বিকেএসপি আসবেই। বিকেএসপি নিয়ে আমি কাজ করছি। অগ্রিম বলা হচ্ছে কিনা আমি জানি না। আমাদের এখানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন লেভেলের স্কুল আছে, ওই টাইপের স্কুল দরকার। একটি ছেলেদের জন্য, একটি মেয়েদের জন্য অ্যাপ্রোজ করব। আমাদের আরও স্কুল দরকার।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে লোকজন বাড়বে না। দুই বাচ্চায় খুশি। তিন বাচ্চাতে যাবে না কেউ। তাই যদি হয়, তাও আমাদের দরকার কোয়ালিটি। আমি কোয়ালিটিতে বিশ্বাসী। কোয়ান্টিটি নিয়ে থাকতে চাই না।
রাঙামাটির বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা আসতে চান না। মেডিকেলে দেখেন, কয়জন ডাক্তার, কয়জন নার্স আছেন? আমি শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছি।
নানিয়ারচর-লংগদু উপজেলা সড়ক যোগাযোগের ব্যাপারে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, যোগাযোগ এ দেশের অন্যতম মাধ্যম। এটা হবেই। রামগড়-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-মানিকছড়ি, মানিকছড়ি-বেতবুনিয়া ফোর লেন হবে। আমি অলরেডি দরখাস্ত জমা দিয়েছি। অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ চায়নি। কিন্তু বন্ধ করতে পেরেছে।
এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ কাজল তালুকদার, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এস এস ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার এরশাদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদ, জেলা জামায়াতের আমির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
২০০২ সালে জেলা শহরের সুখী নীলগঞ্জ এলাকায় রাঙামাটিবাসীর বিনোদনের জন্য জেলা পরিষদের অধীনে ৩০ একর জায়গায় একটি মিনি চিড়িয়াখানা এবং একটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের অযত্নে, অবহেলায় চিড়িয়াখানাটি ধ্বংস হয়ে গেছে। চলতি বছরের ০৪ ফেব্রুয়ারি বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তারা সুখী নীলগঞ্জের মিনি চিড়িয়াখানায় এসে স্থানীয় বনবিভাগের সহায়তায় ১৯টি প্রাণী চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে যান। এরপর চিড়িয়াখানাটি খালি হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
এসআই