ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আলোচনায় বসার আহ্বান ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের, অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
আলোচনায় বসার আহ্বান ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের, অনশনে অনড় কুয়েট শিক্ষার্থীরা 

খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) চলমান সংকট আলোচনার টেবিলে বসে সমাধান করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার, সহকারী ছাত্র কল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ ও ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া।

সোমবার (২১এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তারা এ আহ্বান জানান।

তবে আলোচনার প্রস্তাব গ্ৰহণ করলেও আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকরা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আলোচনার টেবিলে বসুন, আলোচনা করুন, আশা করি সমস্যার সমাধান হবে। এতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, অধ্যাপক ড. তৌহিদ হোসেন, অধ্যাপক ড. রাজিয়া খাতুন, অধ্যাপক ড. রোকনউদ্দিন, অধ্যাপক ড. ইলিয়াস এনাম, অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান, অধ্যাপক ডক্টর মনির হোসেন, অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. আহমেদ হাসান আলী, অধ্যাপক ড. কাউসার আহমেদ রিজভী ও অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম।

রোববার (২০ এপ্রিল) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

ওইদিন বিকেলে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এক ব্রিফিংয়ে সময় বেঁধে দেন। ব্রিফিংয়ের সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

এর আগে শনিবার (১৯ এপ্রিল)  বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী গদিতে আগুন জ্বালানোর কর্মসূচি পালন করে।

এর আগে ১৪ এপ্রিল (সোমবার) রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  

এছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। গত দুই দিন ধরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছিলেন। শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রোববার (১৩ এপ্রিল) বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১,  ২০২৫
এমআরএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।