ঢাকা, সোমবার, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ২১ জুলাই ২০২৫, ২৫ মহররম ১৪৪৭

শিক্ষা

শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত শিক্ষাবিষয়ক প্রস্তাবনাগুলো এগিয়ে নেওয়া হবে: উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২০, জুলাই ২০, ২০২৫
শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত শিক্ষাবিষয়ক প্রস্তাবনাগুলো এগিয়ে নেওয়া হবে: উপদেষ্টা বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত শিক্ষাবিষয়ক প্রস্তাবনাগুলো যথাসম্ভব এগিয়ে নেওয়া হবে। শ্বেতপত্র থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো থেকে আলোচনার মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।

সেগুলো আমাদের এ অল্প সময়ের মধ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি।  

রোববার (২০ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছে তা তারা অনেক অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে সমস্যাগুলো করেছেন তাই এগুলো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির এসব স্থাপিত বিষয় ছাড়াও প্রতিনিয়ত নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রায়ই কোনো না কোনো ইস্যু তৈরি হচ্ছে, ইসুগুলো উপদেষ্ট এবং সচিবদের সমাধান করতে হবে এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে।  

ড. আবরার বলেন, এরই মধ্যে আমরা ইন্ডাস্ট্রির মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামতগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইন্ডাস্ট্রিগুলো আমাদের কোর্সগুলো তাদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাদের প্রশিক্ষণের সময় বেঁচে যাবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছে। আমরা এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের সময় এসেছে, দেশের সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক কারিগরি দক্ষতা সম্পন্ন দক্ষ মানুষ সম্পদ গড়ে তোলা। আজকের এ সভায় আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কাছ থেকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা পেলাম, ভবিষ্যৎ শিক্ষা ব্যবস্থা তুলতে আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো আমাদের সহায়ক হবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। আমাদের সচিবরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মান সম্মত শিক্ষা, শ্রমবাজারের সঙ্গে দক্ষ শ্রমিক তৈরি,  সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বিনিয়োগ বাড়ানো, কারিগরি শিক্ষা মাদরাসা শিক্ষা ও প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় মনোযোগ বাড়ানো এসব বিষয়ের ওপর প্রস্তাবনা পেশ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব, ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ সদস্যরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।  

এমআইএই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।