ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিক্ষা

ডাকসুতে বিজয়ী-বিজিত সবাইকে শুভেচ্ছা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৮, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫
ডাকসুতে বিজয়ী-বিজিত সবাইকে শুভেচ্ছা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী ও বিজিত সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। যারা জয়ী হয়েছেন, তারা যেন অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন সে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্লাটফর্মটি।

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই প্রত্যাশার কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর প্রায় ছয় বছর পর জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানোত্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রথম ধাপ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের প্রার্থী হিসেবে যারা অংশগ্রহণ করেছেন এবং যারা বিজয়ী হয়েছেন— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছে।

‘জুলাই অভ্যুত্থান-পূর্ব বিগত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বাংলাদেশের মাটিতে দীর্ঘ দেড় দশক কোনো সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ ছিল না—অর্থাৎ ছাত্র-জনতার ভোটাধিকার প্রয়োগের লড়াই দীর্ঘদিনের। ছাত্র-জনতার দীর্ঘদিনের নানা ক্ষোভ ও বঞ্চনার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটাধিকার আদায়ের দাবি, সেসব নানা ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ ’২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান, যেখানে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছিল। সুতরাং, ডাকসু-২০২৫ সেই অভ্যুত্থানেরই আকাঙ্ক্ষা ও অর্জনের ফসল। তারই ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে জাকসু, রাকসুসহ দেশের অন্যান্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্বাস করে। ’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই ডাকসুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন পর ভোটের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক যাত্রায় উত্তরণ করেছে। এই গণতান্ত্রিক যাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, সে জন্য আমাদের সব ছাত্র-জনতাকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, এই ডাকসু নির্বাচনে যারা প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং সবার নির্বাচনী ইশতেহারও প্রায় কাছাকাছি। সুতরাং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আহ্বান জানাচ্ছে, ডাকসুতে যারা জয়ী হয়েছেন, আপনাদের ওপর যে মহান দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা যেন সঠিকভাবে পালন করেন; দায়িত্ব পালনে ইনসাফ কায়েম করেন এবং সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মিলেমিশে কাজ করেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ডাকসুর প্রথম নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা ভিপি, জিএস, এজিএস এবং ১২টি সম্পাদক পদের নয়টিতেই জয়ী হয়েছেন। কেবল তিনটি সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সাদিক কায়েম ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান পাঁচ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন। জিএস পদে শিবিরের প্যানেলের এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত শেখ তানভীর বারী হামীম পাঁচ হাজার ২৮৩ ভোট পেয়েছেন।

এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।