খুলনা: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ৪৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হচ্ছে।
এ উপলক্ষে ২৫ মার্চ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাত্তরের গণহত্যার কাল রাতের স্মরণে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল বের করা হয়।
মশাল মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। মশাল ও মোমবাতি হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিছিলে অংশ নেন।
২৬ মার্চ বুধবার দিনের প্রথম প্রহর ১২টা ০১ মিনিটে খুলনা নগরীর গল্লামারী স্মৃতিসৌধে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক, শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কুয়েট ছাত্রলীগ, কুয়েট বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বেলা ১১টায় দেশব্যাপী ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী; পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক হাজার মানুষের অংশগ্রহণে কুয়েট কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সহস্র কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে, ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, ভাইস-চ্যান্সেলরের বাসভবন এবং আবাসিক হলসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সকাল ৯টায় অডিটরিয়ামে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর শিকদার ও ছাত্র-কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. ওসমান গনি।
সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও স্বাধীনতা দিবসের ওপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৪