ঢাকা: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সারাদেশে আটটি সাধারণ বোর্ডসহ মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডর অধীনে এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৩৭৪ জন শিক্ষার্থী।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সাধারণ ও কারিগরি বোর্ডের অধীন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ সংস্কৃতি প্রথমপত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আর মাদ্রাসা বোর্ডে কুরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংবাদ সম্মেলনে পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরেন।
নাহিদ জানান, ৩ এপ্রিল থেকে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ৫ জুন পর্যন্ত। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ৭ জুন থেকে ১৬ জুনের মধ্যে শেষ করতে হবে।
এবার বাংলা প্রথম পত্র, রসায়ন, পৌরনীতি, ব্যবসায় নীতি ও প্রয়োগ, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা, সমাজ বিজ্ঞান এবং কম্পিউটার শিক্ষা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রসহ মোট ২৫টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।
সৃজনশীল পদ্ধতির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আশা করছি, সৃজনশীল কোনো সমস্যা নয়। ছেলেমেয়েরা ভালোভাবেই শিখছে।
এবার এইচএসসি, আলিম, এইচএসসি (বিএম/ভোকেশনাল) ও ডিআইবিএস পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৭৯৩ জন। ২০১৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ১২ হাজার ৫৮১ জন।
এবার এইচএসসিতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা নয় লাখ ২৪ হাজার ১৭১ জন। এর মধ্যে ছাত্র চার লাখ ৬৭ হাজার ৭০৬ জন, ছাত্রী চার লাখ ৫৬ হাজার ৪৬৫ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে আলিমে মোট শিক্ষার্থী এক লাখ ৭ হাজার ৫৫৭ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৯৭০ জন, ছাত্রী ৪৩ হাজার ৫৮৭ জন।
বিএম/ভোকেশনাল মোট শিক্ষার্থী এক লাখ ৪ হাজার ৬৬৯ জন। ছাত্র ৭০ হাজার ৮৪৮ জন এবং ছাত্রী ৩৩ হাজার ৮২১ জন।
আর ডিআইবিএস মোট শিক্ষার্থী চার হাজার ৯৭৭ জন। ছাত্র তিন হাজার ৭৬৯ জন, ছাত্রী এক হাজার ২০৮ জন।
সারাদেশে মোট দুই হাজার ৩৫২টি কেন্দ্রে ছাত্র সংখ্যা ছয় লাখ ছয় হাজার ২৯৩ এবং ছাত্রী পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৮১ জন ছাত্রী।
এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৩০১টি। কেন্দ্র সংখ্যা বেড়েছে ৬৪টি।
বিদেশের পাঁচটি কেন্দ্রে এবার মোট ২০২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ৯১ জন ছাত্র এবং ১১১ জন ছাত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এক্ষেত্রে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরতদের শ্রুতিলেখক হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে। শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা এবারো অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে।
পরীক্ষা নকলমুক্ত সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করে শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবারও পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৪
