ঢাকা: এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে দাবি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। কথিত প্রশ্ন বিক্রেতাদের ধরে পুলিশে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এইচএসসির পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠার পর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুবিধাভোগী কিছু লোক প্রশ্নপত্র বানিয়ে তা বিক্রি করে। আর এটি এমনভাবে আলোচনা চলে যেন মনে হচ্ছে প্রতিদিনই প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আসলে এটা গুজব।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ তুললে তা প্রমাণ করা কঠিন। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জীবন-মরণ প্রশ্ন এটা। অতি গুরুত্ব দিয়ে সর্বশক্তি নিযুক্ত করে দেখছি। আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম, এখনো খুব সিরিয়াস ও সচেতন আছি।
এই চক্রের কারণে ছেলে-মেয়েরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী এদের চিহ্নিত করে পুলিশে দরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। মন্ত্রী পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে গুজব না ছড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
গত ৩ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে।
ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে ফরিদপুর থেকেই প্রথম খবর পেয়েছিলাম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির সভায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে ডাকা হয়েছিল। আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্তের জন্য এখনই কিছু বলছি না। জড়িতদের চিহ্নিত করে অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের ধরতে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসনসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়কে লিখিত চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৪