ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪
ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ৫০ বছর পূর্ণ করলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শুক্রবার স্কুল প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এরমধ্যে রয়েছে প্রামান্যচিত্র প্রদর্শনী, সঙ্গীতানুষ্ঠান, আতশবাজি ও আলোকসজ্জা।

ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এক্স-স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ইউলেসা) উদ্যোগে এসব আয়োজন করা হয়।

শুক্রবার সকালে ৫০টি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এবং বৃক্ষরোপণ করে উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির সুবর্ণজয়ন্তী লোগো উন্মোচন এবং একটি ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল একসময় রাজধানীর অন্যতম সেরা স্কুল ছিল। এ স্কুল থেকে বহু

খ্যাতনামা ব্যক্তি পাশ করে বেড়িয়েছেন যারা পরবর্তীতে দেশ ও জাতির সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে  এ স্কুলের অনেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বশ্রেষ্ট বিদ্যাপীঠ। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত স্কুলটিও যে শ্রেষ্ঠ স্কুল হবে সেটাই স্বাভাবিক। এ স্কুলটিকে রাজধানীর সেরা স্কুল হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ এখনো রয়েছে। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার।

এসময় প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান ঢাবি উপাচার্য।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি চিত্রশিল্পী সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যখন আর্ট কলেজের (বর্তমানে ঢাবির চারুকলা অনুষদ) ছাত্র ছিলাম তখন এ স্কুলটি

রাজধানীর শ্রেষ্ঠ স্কুল ছিল। এ স্কুলের নাম শুনলে অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভয় পেত। কারণ এখানে সব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতো এবং সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা ছড়িয়ে পড়ে।

স্কুলের অতীত গৌরবের কথা উল্লেখ করে প্রখ্যাত এ চিত্রশিল্পী বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে আরো ভালো করবে।

স্কুলের উপাধ্যক্ষ সেলিনা বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিটিউট পরিচালক প্রফেসর জালাল উদ্দীন এবং ইউলেসার সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান লিটু এবং অনুষ্ঠান আয়োজন উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাসের ইকবাল যাদু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে নিজেদের স্কুল ও কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা সমবেত হয়েছেন স্কুল প্রাঙ্গনের মিলনমেলায়। পুরানো বন্ধু-
সহপাঠীদের পেয়ে অনেকেই হাজারো সাংসারিক টানাপোড়েন ভুলে মেতে উঠেছেন হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর সেই  উচ্ছ্বল ও প্রাণবন্ত আড্ডায়।

কেউ-কেউ আবার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে রোমান্থন করছেন স্কুল অথবা কলেজ জীবনে ফেলে যাওয়া হাজারো স্মৃতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৪


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।