ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির ১০২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, চাকরিচ্যুত ১ শিক্ষক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৪
ঢাবির ১০২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, চাকরিচ্যুত ১ শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট ও এর অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজ থেকে ১০২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া নৈতিক স্খলনের দায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নুর উদ্দীন আলোকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।



রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভাটি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয়ে চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।

প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় ১০২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ অনুযায়ী রোববারের সিন্ডিকেট সভায় তা অনুমোদন করা হয়।

এদিকে নৈতিক স্খলনের দায়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নুর উদ্দিন আলোকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান।

বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ওই শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি ভূয়া বলে প্রতীয়মান হওয়ায় ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট তা বাতিল করেছে। তাই নৈতিক স্খলনের দায়ে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

প্রক্টর অফিস সূত্রে আরও জানা যায়, বহিষ্কৃতদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫-৩০ জন হতে পারে। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি জানাতে পারেনি সূত্রটি।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর নুর উদ্দিন আলোর পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

‘মিথ্যা ও ভূয়া’ তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণা (থিসিস) পত্র দিয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করায় তদন্ত কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এ প্রভাষকের ডিগ্রি বাতিল করেন।

জানা যায়, অভিসন্দর্ভে নুর উদ্দিন দাবি করেন, তিনি গবেষণা করতে গিয়ে বিশ্বের ৮০টি দেশের ১২ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি তিনি নিয়েছেন ইয়াহু ও হটমেইলের মাধ্যমে। তার সাক্ষা‍ৎকারদাতাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনার।

সাক্ষাতকার নিতে বিভিন্ন দেশে তিনি ২১ জন সহকারীও নিযুক্ত করেছেন বলে দাবি করেছেন। তিন বছরেরও কম সময়ে পিএইচডি গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন। অভিসন্দর্ভে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী প্রতিদিন এক হাজার ১৬৪ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তিনি।

নূর উদ্দিনের পিএইচডি অভিসন্দর্ভের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন। অভিসন্দর্ভ মূল্যায়ণ কমিটিতে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মকসুদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।