ঠাকুরগাঁও: গ্রামবাসীর কাছ থেকে অর্থ আর বাঁশ সংগ্রহ করে ঠাকুরগাঁওয়ের ভুল্লী নদী পারাপারে সেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
টানা নয় দিনের পরিশ্রমে সাঁকোটি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।
এতে নদী দিয়ে বিভক্ত হওয়া গ্রামের দুই সহস্রাধিক মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। তবে, ওই স্থনে স্থায়ীভাবে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখরি ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামটি ভুল্লী নদী দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। নদীর দুই পারের মানুষ ও স্কুল কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের পাঁচ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয় হাটবাজারসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
দীর্ঘদিন ধরে এসব সমস্যা প্রশাসনের কাছে তুলে ধরলেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে বাধ্য হয়েই স্থানীয় ছাত্রছাত্রীসহ যুবকরা গ্রামবাসীর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে তৈরি করেছে বাঁশের তৈরি সাঁকো।
এতে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে মোল্লাপাড়া, হাতেমপাড়া, সেনপাড়া, মাস্টারপাড়াসহ আশপাশের আটটি পাড়ার দুই সহস্রাধিক মানুষের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানায় স্থানীয়রা।
ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম, নয়ন সরকার, রুবেল মিয়া, নুরে আলম জানায়, নদীতে সাঁকো হওয়ায় খুব সহজেই যাওয়া যাবে স্কুল-কলেজে।
শুকার পুখরি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, এখানে ব্রিজ হওয়া খুবই জরুরি। ব্রিজটি না থাকায় বিভিন্ন পণ্য ঘরে আনকে কৃষকদেরও পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফয়জুল হক প্রধান বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়ভাবে সহযোগিতা করে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। তবে এখানে ব্রিজ নির্মাণ করতে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৯ ঘণ্টা, ২৭ মে, ২০১৪