মংলা (বাগেরহাট): বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ভুলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাগেরহাটের মংলা উপজেলার ৮৯ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, চলতি বছরে মংলার চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ভোকেশনাল শাখা) ও টিএ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয় (ভোকেশনাল শাখা) থেকে ৮৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।
গত ১৭ মে সারাদেশে একযোগে ফল প্রকাশ করার পর দেখা যায় ওই দুই বিদ্যালয়ের ৮৯ শিক্ষার্থীর কেউই পাস করেনি। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের তোপের মুখে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরদিন ১৮ মে ওই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দেখা গেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ধর্ম বিষয়ের কোড সঠিকভাবে পূরণ না করায় ওই শিক্ষার্থীদের সবাই ধর্ম বিষয় ফেল করেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাহিদুজ্জামান রনি জানায়, রেজাল্ট শিটে সব এলোমেলো দেওয়া। শিটে কোথাও ভুল হয়েছ। ভুল করা না হলে সে জিপিএ-৫ পেত বলে দাবি করে।
অভিভাবক মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ৮৯ শিক্ষার্থীদের সবাই অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। কিন্তু ফল সংশোধন করে প্রকাশ করছে না বোর্ড কর্তৃপক্ষ। দ্রুত ফল পুনঃপ্রকাশ না করলে এই শিক্ষার্থীরা ভাল কলেজে ভর্তি হতে পারবে না।
এ বিষয়ে চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভোকেশনাল শাখা) এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান, বোডের্র ভুলের কারণে ভোগান্তিতে পরেছে স্কুল ও শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে দেখা গেছে এই ভুল বোর্ডের। কিন্তু তাদের সঙ্গে গোলমাল করে পারা সম্ভন নয় বিধায় বোর্ডের চাহিদা অনুযায়ী ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। এরপরেও কবে পুনঃ ফল প্রকাশ বোর্ডের ওপর নির্ভর করছে।
টিএ ফারুক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ খান জানান, রেজাল্ট শিটে দেখা গেছে তার প্রতিষ্ঠানের ৩৯ শিক্ষার্থী ধর্ম বিষয় ফেল করেছে। পরে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হলে তাদের পরামর্শে খাতা পুনরায় দেখানেরা আবেদন করা হয়েছে।
চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, তার ৫০ শিক্ষার্থী সবাই ধর্ম বিষয়ে ফেল করেছে। বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তাদের পরামর্শে খাতা পুনঃমূল্যায়নের আবেদন করা হয়েছে। তবে কবে পুনঃ ফল প্রকাশ হবে তা বলতে পারেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৪