বাকৃবি (ময়মনসিংহ): ‘Think Milk, Drink Milk’ -এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০১৪’ পালিত হয়েছে।
রোববার সকাল ১১টার দিকে বাকৃবির পশুপালন অনুষদ ও ব্রাক ডেইরির যৌথ অর্থায়নে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে একটি র্যালি বের হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হক বেলুন উড়িয়ে র্যালিটির উদ্বোধন করেন।
র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নিকেতন বিদ্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে, সেখানে বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় শতাধিক শিশুকে দুধ পান করানো হয়।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০১৪’ উপলক্ষ্যে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাকৃবি সিন্ডিকেট সদস্য ডা. মতিউর রহমান, পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল ওয়াদুদ, ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন ডা. আ স ম আব্দুছ ছামাদ।
সেমিনারে বাংলাদেশে দুধ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও দুধের গুণাগুণ নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক. ড. নুরুল ইসলাম।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে কমপক্ষে ২৫০ মিলি দুধ খাওয়া উচিৎ হলেও আমাদের দেশে গড় প্রাপ্যতা মাত্র ৫৫ মিলি। ফলে দেশে দুধের ঘাটতি প্রায় ৮০-৮৫ শতাংশ।
অতিরিক্ত এই চাহিদা মেটাতে আমাদেরকে বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণের দুগ্ধপণ্য আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রায় ১৮-১৯ শত কোটি টাকা দুগ্ধজাত পণ্য আমদানিতে ব্যয় হয়। কিন্তু আমদানিকৃত ওই সব দুগ্ধজাত পণ্যের মান নিয়ে সংশয় রয়েছে।
দেশে ছোট ছোট খামার তৈরির মাধ্যমে, স্বল্প মাত্রায় ঋণ ব্যবস্থা চালু করে, বিদেশি দুগ্ধ পণ্যের ওপর নির্ভরতা কমানো, পণ্যের যথাযথ মান যাচাই করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান দুগ্ধ বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৪