রাজশাহী: রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও হাসপাতালে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
অধ্যক্ষ ডা. ইয়াসিন আলীর অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সোমবার দুপরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে চালিয়ে আসছেন অধ্যক্ষ। কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন তার স্ত্রী ডা. সায়েরা বানু। এছাড়াও অধ্যক্ষের ছেলে গুলজার হোসেন ও শ্যালক মাসুম রানা এই কলেজের শিক্ষক। আর বাড়ির গৃহকর্মী শওকত আরা প্রতিষ্ঠানটিতে আয়ার কাজ করেন। স্বজনদের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক সম্পদ হিসেবে ব্যবহার করে অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন অধ্যক্ষ।
এসব ঘটনায় এলাকাবাসী ও শিক্ষকদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগও করা হয়। কিন্তু প্রতিকার মেলেনি।
কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য হোসেন আলী জানান, অধ্যক্ষ হিসাবে ডা. ইয়াসিন আলী নিয়োগ পাওয়ার পর রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পরিবারতন্ত্রে আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সেখানে একে একে নিয়োগ পান তার পরিবারের সদস্যরা। নিজে অধ্যক্ষ হয়ে সেখানে উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন স্ত্রী সায়েরা বানুকে। শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান ছেলে গুলজার হোসেন ও শ্যালক মাসুম রানা। এছাড়া বাড়ির গৃহকর্মী শওকত আরা খাতুনকে আয়া হিসাবে নিয়োগ দেন তিনি।
শওকত আরা প্রতিষ্ঠানে না গিয়েও নিয়মিত বেতন নেন। এছাড়া তার আরও কয়েকজন নিকটাত্মীয় এ প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কলেজটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ইয়াসিন আলী জানান, তার পরিবারের সদস্যরা যোগ্যতার ভিত্তিতেই সেখানে চাকরি পেয়েছেন। তিনি নিজে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। একটি পক্ষ তাকে কলেজ থেকে সরাতে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সোবহান জানান, হোমিওপ্যাথিক কলেজে তালা দেওয়ার খবরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে পুলিশ গিয়ে এলাকাবাসী কর্তৃক অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় এবং প্রতিষ্টানের তালা খুলে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৪