ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবিতে পরীক্ষার হলে নকল ধরায় ছাত্রলীগের ভাঙচুর

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪
ইবিতে পরীক্ষার হলে নকল ধরায় ছাত্রলীগের ভাঙচুর ছবি: সংগৃহীত

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের এক কর্মীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার করায় পরীক্ষার হলে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।



এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়। এতে পাঁচ  শিক্ষার্থী আহত হয়।

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আলতাফ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টায় বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মী নাজমুল হক নাহিদ ও  অন্য এক ছাত্র উজ্জল কুমারের কাছে নকল পাওয়ায় তাদের খাতা নিয়ে নেন কর্তব্যরত শিক্ষক তপন কুমার।

এ সময় তাদের খাতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমান হাবিবের মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সুপারিশ ও হুমকি আসতে থাকে।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভাগীয় সভাপতি ড. রহমান হাবিব তাদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন। এ সময় ইবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুজার গিফারি গাফফার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় সভাপতির কাছে অনুরোধ করেন।

কিন্তু বিভাগীয় সভাপতি তাদের পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করলে গাফফার ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা সংগঠিত হয়ে শিমুল, নাহিদ, সাজ্জাদের নেতৃত্বে পরীক্ষার হলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের চেয়ার দিয়ে মেরে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়।


চেয়ারের আঘাতে শিক্ষার্থী সেতু, হাফিজ, সিহাব, নাইমুল ইসলামসহ পাঁচ জন আহত হয়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর আগেও পরীক্ষার হলে নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে শিমুলের বিরুদ্ধে।

এদিকে, পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করেছি। তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

এ বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমান হাবিব বলেন, অপরাধীদের খাতা বাতিল করা হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের যে এক ঘণ্টা পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে তার ওপরেই খাতা মূল্যায়ন করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইবি ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুজার গিফারি গাফফার বলেন, আমি ছাত্রলীগের ওই কর্মীর হয়ে বিভাগীয় সভাপতির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। তিনি আমাকে সমস্যার কথা বললে আমি চলে এসেছি। পরে সেখানে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা কি করেছে তা আমি জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।