ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খুবি কলা ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪
খুবি কলা ও চারুকলা ইনস্টিটিউটের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) কলা ও মানবিক স্কুল এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের পৃথক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুবি ১নং একাডেমিক ভবনের লেকচার থিয়েটারে কলা ও মানবিক স্কুলের এবং খুবি কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি প্রাঙ্গণে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।



উভয় অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

তিনি উভয় অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথা অনুযায়ী শপথ বাক্য পাঠ করান।

এ সময় তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জ্ঞান চর্চার উন্মুক্ত স্থান। আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান চর্চার সঙ্গে তাদের মানবিক গুণাবলী বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।



কলা ও মানবিক স্কুলের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সাহিত্য সমাজ ও সত্ত্বাকে জাগ্রত করে। চেতনাবোধের জাগৃতিতে সাহিত্যের অপরিসীম অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, যারা কলা ও মানবিক স্কুলের ছাত্র বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজির ছাত্র তাদের স্বাতন্ত্রবোধ রয়েছে।

তিনি বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক অন্দোলনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করতে এবং আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে সাহিত্যিকদের অসামান্য অবদান রয়েছে।

তিনি বলেন, একটি দেশ ও জাতির মানসিকতার উৎকর্ষতার বিবেচ্য হয়, সাংস্কৃতিক মানদণ্ডের অবস্থান নির্ণয় হয় তার শিল্প ও সাহিত্যের বিচারে।

দু’টি অনুষ্ঠানিই বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. অনির্বাণ মোস্তফা।

তিনি নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন, আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং শৃঙ্খলা ও কল্যাণের দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তারা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হয়। আর মেধাই হচ্ছে বর্তমান যুগের শক্তি। জ্ঞান অর্জনের মূল লক্ষ্য হতে হবে মানবিক গুণাবলী বিকাশিত হওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গত ২৪ বছরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মিলে একটি গর্বের জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কলা ও মানবিক স্কুলের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিন প্রফেসর ড. শেখ মো. রজিকুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক সারোয়ার জাহান।

এখানে নবাগত শিক্ষার্থীদের  মধ্যে নুজহাত তাবাসুম এবং পুরাতনদের মধ্যে নিপা বৈরাগী বক্তব্য রাখেন।

এর আগে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন ও অনুষ্ঠানের সভাপতি স্কুলের ২টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেন।  

অপরদিকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন।

তিনি চারুকলা শিক্ষার গুরুত্ব এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান তুলে ধরেন।

ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. আমেরুল মোমেনীন চেীধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাষ্কর্য ডিসিপ্লিনের প্রধান শেখ সাদী ভ’ইয়া।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ড্রইং এন্ড পেইন্টিং ডিসিপ্লিনের প্রধান চৈতন্য মল্লিক, নবাগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তমা বৈরাগী এবং পুরাতনদের মধ্যে সঞ্জয় মন্ডল। উ

উভয় অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট স্কুল ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।   

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।