ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানোর ইঙ্গিত

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪
ঢাবি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বাড়ানোর ইঙ্গিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বাজেট অধিবেশনে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য ৩৭৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার বাজেট উপস্থাপণ করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) ও ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সহিদ আখতার হুসাইন সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট উত্থাপন করেন।



বাজেটে সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৭১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা খাতে। যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে সামগ্রিকভাবে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। যা বাজেটের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গবেষণা খাতে মোট বরাদ্দের পরিমাণ ৩ কোটি টাকা।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সিনেটের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

বাজেট বক্তৃতায় অধ্যাপক সহিদ আখতার হুসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন আয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল গঠনের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ’

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রায় সব শিক্ষার্থী মাসে ৩০০/৪০০ টাকা মোবাইল বিল পরিশোধ করে। সেখানে মাসে ২০/৩০ টাকার টিউশন ফি কতটা যৌক্তিক তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। ’

তবে মেধাবী-দরিদ্র ও সুবিধা-বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানো উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য ‘শিক্ষাঋণ’ চালুর উদ্দেশ্যে চলতি বাজেটে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল এ দেশে গরীবের পরোক্ষ করের টাকায় ধনীর সন্তানদেরও বিনামুল্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান অযৌক্তিক। `ভর্তুকি নির্ভর উচ্চশিক্ষায়’ সবার জন্য সুযোগ উন্মুক্ত থাকা উচিত নয়।

বিগত পাঁচ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষা ও উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে ড. আরেফিন সিদ্দিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতায় চেয়েছেন।

এদিকে শিক্ষকদের সংগঠন নীল-সাদার বিতর্কে জমজমাট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন।

সিনেট সদস্যরা তাদের আলোচনায় শিক্ষকদের চাকরির বয়স ৬৫ থেকে ৬৭-তে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভিসির প্রতি আহ্বান জানান।
গবেষকদের বিশেষ সুযোগ প্রদানেরও প্রস্তাব করেন তারা।

সিনেটরদের মধ্যে আওয়ামী-বাম ঘেঁষা নীল দল থেকে আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, অধ্যপক ফরিদ উদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক নাজমা শাহীন প্রমুখ।

অন্যদিকে বিএনপি জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের সিনেটরদের মধ্য থেকে অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন, অধ্যপক ড. তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক লায়লা নুর প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।