ঢাকা: বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার স্থাপনের সমালোচনা না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, যারা গোপনে বিদেশি ক্যাম্পাস পরিচালনা করছেন তাদের এখন নীতিমালার আওতায় আসতে হবে বলেই তারা এই বিধিমালার বিরোধিতা করছেন।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রির্পোর্টার্স ইউনিটিতে ‘এডুকেশন রিসার্চ কাউন্সিলের উদ্যোগে ক্রস-বর্ডার হায়ার এডুকেশন ইজ এ রিয়েলিটি’ শীর্ষক সেমিনার বক্তরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আমানুল্লাহ ফেরদৌস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহফুজ আহমদ, কারিগরি শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল ইসলামসহ শিক্ষাবিটের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, ‘বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। এখন থেকে পাঁচ কোটি টাকা জামানত ও নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে বাংলাদেশে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস বা স্টাডি সেন্টার করা যাবে। এর ফলে নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে পরিচালিত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা, স্টাডি, লার্নিং, রিক্রুটিং সেন্টারসহ এ সংক্রান্ত সকল প্রতিষ্ঠান আইনের আওতায় আসবে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা লঙ্ঘন করলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের মতোই পাঁচ বছর কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান রয়েছে। সুতরাং আমাদের স্বার্থে এটাকে সাধুবাদ জানানো উচিত। ’
সেমিনারে জানানো হয়, নতুন এই বিধিমালা অনুযায়ী, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের জন্য ১০ লাখ টাকা ও স্টাডি সেন্টারের জন্য তিন লাখ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুকূলে অনুমতিপত্রের জন্য নিবন্ধন ফি দিতে হবে।
শাখা ক্যাম্পাসের জন্য পাঁচ কোটি টাকা নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে সংরক্ষিত তহবিলে এবং স্টাডি সেন্টারের জন্য এক কোটি টাকা জমা রাখতে হবে। শাখা ক্যাম্পাস পরিদর্শনের জন্য ২ লাখ ও স্টাডি সেন্টার পরিদর্শনের জন্য ১ লাখ টাকা ফি দিতে হবে।
তবে এ নীতিমালা জারি হলে দেশের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার ধ্বংসের দ্বার উন্মোচিত হবে উল্লেখ করে দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধ্বংসের যড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছেন অনেকে।
এর ফলে দেশে অবাধে এবং সরকারি অনুমতিসাপেক্ষে সার্টিফিকেট বাণিজ্য শুরু হবে। এরকম মতামত উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকে।
তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন, নীতিমালা হওয়া ফলে এখন কেউ গোপনে আর এ ব্যবসা করবে না। তাই এটাকে সাধুবাদ জানানো উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, জুন ২৯,২০১৪