রাজশাহী: ২০১৩ সালে জাতীয়করণের আগে দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষককে এককালীন অবসর ভাতা, মাসিকভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
রোববার রাজশাহী মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- এককালীন ভাতা বর্তমান মূল বেতনের শতভাগ পরিমাণ ১০০ মাসের সমান অর্থ, বছরে দুইটি বোনাস ও মূল বেতনের সমান অর্থ, মৃত্যুর পর স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ভাতা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা, সন্তানদের পোষ্য কোটায় সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করা।
এসব দাবি ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৩ সালে নিবন্ধনকৃত, পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত অনিবন্ধনকৃত এবং কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। সেই সঙ্গে ওই বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরিও জাতীয়করণ করা হয়।
কিন্তু ২০১১ সালে বা তার আগে অবসরপ্রাপ্ত ওই বিদ্যালয়গুলো শিক্ষক যারা জাতীয়করণের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন; তারা সেই সুফল আর ভোগ করতে পারেননি। তাদের সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজারের মতো।
ওই শিক্ষকদের অবসরভাতা, মাসিকভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি করলে জাতীয়করণের যেটুকু শূন্যতা আছে তা পূরণ হবে। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি কফিল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক তোজাম্মেল হক, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৪