ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

টিআইবি’র প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ইউজিসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৪
টিআইবি’র প্রতিবেদনের প্রতিবাদ ইউজিসির

ঢাকা: দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অনৈতিক ও অযোক্তিকভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

ইউজিসি অভিযোগ করেছে, টিআইবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে দুটি প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতেই এই অপপ্রয়াস নিয়েছে।



সোমবার টিআইবি এক গবেষণা প্রতিবেদনে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের সনদ অর্জন পর্যন্ত পদে পদে অবৈধ অর্থ লেনদেন হয় বলে দাবি করে। অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাংশ জড়িত’ বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তারপরই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে ইউজিসি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এর একদিন বাদেই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির প্রতিবেদনের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়।

প্রতিবাদ লিপিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটি অভিযোগ করে, টিআইবি’র প্রতিবেদনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে যেভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে অনৈতিক এবং অযৌক্তিক।  

“শুধুমাত্র একটি বা দু’টি প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করাই নয় বরং উচ্চ শিক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ এবং কলুষিত করার অপচেষ্টা হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ”

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন মনে করে, সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির কেউ যদি কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে, কেউ সুনির্দিষ্ট প্রমাণাদিসহ কমিশনকে অবহিত করলে তড়িৎ গতিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ কমিটিতে তথ্য প্রমাণ প্রদান করতে পারবে, কমিশন আপষহীনভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রতিবাদে আরো জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং ট্রেজারার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আইনানুযায়ী সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের  উপর ন্যাস্ত। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কমিশনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কমিশনে আর্থিক লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই।

নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন সংক্রান্ত পরিদর্শনের সময় মঞ্জুরী কমিশন প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ব্যাংক ড্রাফট এর মাধ্যমে পরিদর্শনের জন্য জেলা শহর, বিভাগীয় শহর এবং মেট্রোপলিটন শহরভেদে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পরিদর্শন ফি গ্রহণ করা হয়। সকল অর্থই ক্রসচেকের মাধ্যমে গ্রহণ করে কমিশনের একাউন্টে জমা রাখা হয়। পরিদর্শন টিমের সকল খরচ ক্রসচেকের মাধ্যমে সচিব, ইউজিসি বরাবর গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করার সুযোগ নেই, যোগ করা হয় ইউজিসির প্রতিবাদে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ তদারকির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় গাইড লাইনসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত উপরোক্ত অর্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী অনুসরণ করে করা হয়। সকল অর্থই ক্রসচেকের মাধ্যমে গ্রহণ করে কমিশনের একাউন্টে জমা রাখা হয়।

“যে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে সেসবের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কমিশন এ বিষয়গুলি বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে জনগণকে সচেতন করেছে। সম্প্রতি আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি’র রাজশাহী ক্যাম্পাসসহ অন্যান্য সমস্ত অবৈধ ক্যাম্পাস উচ্ছেদ করার জন্য সকল জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।