রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সময়ের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মাঝে সমঝোতা দরকার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাবি ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতঙ্ক দুর করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাবিকে গড়ে তুলতে কাজ চলছে বলে জানান উপাচার্য।
গৌরবময় দীর্ঘ পথচলা শেষে ৬২ বছরে পা রাখলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরবঙ্গের বাতিঘর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেশের ক্রান্তি লগ্নে আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী দিনেও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নেতৃত্ব দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় সিনেট ভবন চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধন করা হয়। পরে সেখান থেকে ক্যাম্পাসে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে আবারো সিনেট ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। বেলা ১১টায় সিনেট ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৪