ঢাকা: অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতি, স্বজনপ্রীতি, স্বেচ্ছাচারিতাসহ দুই ডজনেরও বেশি অভিযোগ মাথায় নিয়ে স্বপদে বহাল আছেন গুলশান মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ এম মুস্তফা জামান মিয়া।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডের তদন্তে ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও শাস্তি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক আব্দুল জব্বার মেহমান।
মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মুস্তফা জামানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণসহ বিবরণ তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক এসএম আলী আশরাফ বলেন, মুস্তফা জামানের বিরুদ্ধে ৩১টি অভিযোগের অধিকাংশই প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, এসএসসি কোচিং ফি বাবদ তিন লাখ সাত হাজার টাকা আত্মসাৎ করে শিক্ষক ওবায়েদ উল্লাহাকে ফাঁসানো, শিউলী খাতুন নামের এক শিক্ষককে নিয়োগপত্র না দিয়ে আড়াই বছর খাটানো, নিয়ম বর্হিভূতভাবে ঋণ নিয়ে গাড়ি কেনা, প্রভাতি শাখার এক শিক্ষককে অবৈধভাবে চাকরিতে রাখা।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ এনে বলা হয়, আলিম-ফাজিলের সনদকে চাতুরি করে এসএসসি-এইচএসসির সনদ বানিয়ে নিয়োগ বোর্ডে উপস্থাপন করেছিলেন।
এছাড়াও পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি ছাড়া ১১জন শিক্ষক নিয়োগ, বিশেষজ্ঞ ছাড়া ভবন নির্মাণের অভিযোগ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তদন্তে এম মুস্তফার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৯ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার এমপিও বাতিল করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে কারণ দর্শাতে বলে। কিন্তু বহাল তবিয়তে আছেন তিনি।
এ বিষয়ে প্রমাণপত্র উপস্থাপন করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এস এম আবুল কালাম আজাদের জোরে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে জানিয়ে আয়োজকরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে অধ্যক্ষ মুস্তফার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কলেজটিকে ‘রাহুমুক্ত’ করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনিরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪