ময়মনসিংহ: ভালো ফলাফলে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন ময়মনসিংহের কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়ার পর মেধাবী শিক্ষার্থীরা একে অপরের গলা জড়িয়ে জয়ধ্বনি দিচ্ছেন।
শিক্ষকদের সালাম করতে গিয়ে কারো কারো চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে আনন্দাশ্রু। কেউ কেউ ফোনে পাঠাচ্ছেন আনন্দের বার্তা। ঘটা করে চলছে সাফল্যের মিষ্টি বিলানো।
বুধবার দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর ময়মনসিংহের কলেজগুলোতে এমনই চিত্র দেখা গেছে।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন কলেজ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা বলছেন, নিজেদের মেধা, শিক্ষকদের দক্ষতা এবং অভিভাবকদের অনুপ্রেরণা ও সর্বোপরি সচেতনতাই এ সাফল্যের খোরাক যুগিয়েছে। এসব মেধাবীদের চোখে-মুখে এখন নতুন স্বপ্নের দোলাচল।
ময়মনসিংহ মুমিনুন্নিসা কলেজের জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রী তাসমিন তারাননুম প্রান্তি ও তাসনিয়া ইসলাম অদিতি ভালো রেজাল্টের পেছনে শিক্ষকদের বিরাট ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
শিক্ষা নগরীর স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করা নাসিমা আক্তার ও মানবিক শাখা থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নন্দিতা বলেন, স্যারদের কথা সঠিকভাবে পালন করেছি। তাই, আমাদের এই সাফল্য। তবে এ সাফল্যের পেছনে মা-বাবার অবদানকেও খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
ময়মনসিংহ কমার্স কলেজ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত জিয়াউদ্দিন সাকিব ও ঊর্মি আক্তার বলেন, বাবা-মা এবং শিক্ষক সব সময় আমাদের গাইডেন্স দিতেন। আজকের এই অর্জনকে সামনে রেখে ভবিষ্যতে আমরা চ্যার্টাড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চাই।
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের প্রিন্সিপ্যাল জয়নাল আবেদিন বলেন, আজকের এ ফলাফল আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতি।
মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের প্রিন্সিপ্যাল অধ্যাপক এ.আর মাহমুদুল হাসান বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসে আমার কলেজ ভালো ফলাফল করেছে। আমি এ ফলাফলে তুষ্ট।
ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপ্যাল কর্নেল লুৎফুর রহমান বলেন, ছাত্র-শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার কলেজ ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। আগামীতেও ফলাফলের এ ধারাবাহিকতা রক্ষা করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪