খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাক্সামিনেশন (আইটিইই) বিষয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বিশ্বায়নের এ যুগে তথ্য প্রযুক্তির অপরিসীম অবদান, সম্ভাবনা ও সুযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আমাদের আইটি বিষয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং এখাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটদের দেশ-বিদেশে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, আমরা চাইলে সব কিছু পারি। তরুণ বয়সে সব কিছুই জয় করা সম্ভব।
দেশে সরকারি-বেসরকারি বহু বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে এখন আইটি শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে রেটিং বা গ্রহণযোগ্যতার পরিমাপের সুযোগ কম। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র জাপান, বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ ব্যাপারে আইটিইই প্রকল্পের যে সুযোগ নিয়ে এসেছে তা তরুণদের এখাতে বিশ্বপরিমণ্ডলে গ্রহণযোগ্যতার পরিমাপের সুযোগদানের সাথে সাথে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের প্রতি আইটিইই’র পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সনদলাভ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটিইই পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি এ প্রকল্পের কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানে আগ্রহের কথাও ব্যক্ত করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. রামেস্বর দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক অতিরিক্ত সচিব এস এম আশরাফুল ইসলাম ও জাইকার আইটিইই প্রকল্প পরিচালক আকিহিরো সোনজি।
সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আইটিইইর প্রকল্প পরিচালক ড. শেখ আমজাদ হোসেন। সেমিনারে বলা হয় আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাইকার আইটিইই প্রকল্পের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে এ বিষয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
দেশে ইংরেজি ও অন্য কয়টি বিষয়ে সক্ষমতা নিরুপণে বিশ্বব্যাপী আইইএলটিএস, টোফেল, জিম্যাটসহ যেমন বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদ লাভ করতে হয়, ইনফরমেশন টেকনোলজি বিষয়ে অনুরূপ আইটিইই পরীক্ষা নেওয়া হবে। দক্ষিণ এশীয় ১৩টি দেশে এ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে যেখানে আইটিইইর সনদ থাকলে সব দেশেই তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সক্ষমতার স্বীকৃতি পাবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রসারিত হবে।
আইটি বিষয়ে গ্রাজুয়েট ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ও আইটি বিষয়ে দক্ষতা আছে এমন শিক্ষার্থীরাও এ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আইটি গ্রাজুয়েট বা এ বিষয়ে চূড়ান্ত পর্বে শিক্ষার্থীদের এ পরীক্ষায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেমিনারে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৪