রাজশাহী: রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শিশুদের উপকরণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারিভাবে মহানগরের ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসিএল (আর্ন চাইল্ড লার্নিং) প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা উপকরণের জন্য এক লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও মাত্র এক থেকে দেড় হাজার টাকার উপকরণ বিতরণ করেই দায় সেরেছেন শিক্ষা কর্মকর্তা রাখি চক্রবর্তী।
বুধবার এসব শিক্ষা উপকরণ নির্ধারিত স্কুলের শিক্ষকদের দেওয়া হয়।
এ সময় উপকরণ দেখে বিষ্মিত হন শিক্ষকরা। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি স্কুলে সরকারি বরাদ্দ আট হাজার টাকা। অথচ শিক্ষা কর্মকর্তা রাখি চক্রবর্তী মাত্র এক থেকে দেড় হাজার টাকার কয়েকটি পেন্সিল, মার্কার কলম, রেজিস্ট্রার খাতা আর শিশুদের গল্পের বই বিতরণ করেই দায় সেরেছেন। এতে প্রতিটি স্কুলের কমপক্ষে ছয় হাজার টাকা করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, শিশুদের উপকরণের জন্য সরকারি বরাদ্দের টাকা কৌশলে আত্মসাৎ করেছেন এ শিক্ষা কর্মকর্তা। তালিকাভুক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বরাদ্দের অর্থ দেওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষা কর্মকর্তা নামমাত্র খাতা কলম ধরিয়ে দিয়েছেন।
ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আরও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ৩ মাস আগে শিক্ষা উপকরণের নামে মহানগরীর ৬০টি স্কুলের প্রতিটি থেকে এক হাজার টাকা করে আদায় করলেও এখন পর্যন্ত কোনো স্কুলে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছেনি।
মহানগরীর উপশহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শিক্ষা কর্মকর্তার কথামতো টাকাগুলো তুলেছিলেন বলে জানা গেছে।
তবে বোয়ালিয়া থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রাখি চক্রবর্তী বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষকদের হাতে টাকা দেওয়া হয়নি তাই তারা অভিযোগ তুলতে পারে। তবে বিধিসম্মতভাবেই শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৪