ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মুকুট হারিয়েও খুশি রাজউক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
মুকুট হারিয়েও খুশি রাজউক ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ছবি)

ঢাকা: গত বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এসএসসি) অর্জিত দেশ সেরার মুকুট এবার হারিয়েছে রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

গত বারের মুকুট হারালেও সারা দেশের মধ্যে এবার দ্বিতীয় স্থানে আছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রতিষ্ঠানটি।

তবে এবারের ফলাফলে অখুশি নয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানালেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ইমামুল হুদা।

এ বছর নতুন একটি প্রতিষ্ঠানে প্রথম হওয়ায় তাদেরকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ধরনের প্রতিযোগিতা দেশের সার্বিক শিক্ষার মানের জন্য ভাল।

‘আমার সাফল্য দিয়ে নয় বরং কতবার ব্যর্থ হওয়ার পরে সফলতা পেয়েছি সেভাবে আমাকে মূল্যায়ণ করুন’- নেলসন ম্যান্ডেলার এমন উক্তিকে স্মরণ করিয়ে তিনি বলেন, আমরা হারানো গৌরব ফিরে পেতে পূর্ণ উদ্যমে চেষ্টা চালাবো।

২০১০, ২০১১ এবং ২০১২, ২০১৪ সালে মাধ্যমিক স্কুল পরীক্ষায় (এসএসসি) সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে উত্তরা রাজউক কলেজ।

টানা তিনবার প্রথম স্থান অধিকারের পর ২০১৩ সালে ছন্দ পতন হয় রাউজকের। প্রথমে থেকে তৃতীয় স্থানে ছিটকে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু ২০১৪ সালে আবারও জায়গা করে নেয় শীর্ষে। তবে ২০১৫ সালে আর আগের বছরের পুনরাবৃত্তি ঘটলো না। এবার প্রতিষ্ঠানটি নেমে গেল দ্বিতীয় স্থানে।

২০১৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় রাজউক স্কুল ও কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পাঁচশত ৭৪ জন শিক্ষার্থীর সকলেই পাস করেছে। বিজ্ঞান বিভাগের চারশ’৭৪ জনের মধ্যে ৪৬০ জন এবং বাণিজ্য বিভাগের ৭২ জনের মধ্যে ৩৭ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে।  

এবার রাজউক প্রথম স্থানে নেই অসমর্থিত সূত্রে পাওয়া এমন খবর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকেই চাউর হয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তখন থেকেই ফলাফলের জন্য স্কুল প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে এক ধরনের মন খারাপের আভা দেখা যেতে থাকে। আশঙ্কা সত্যি করে দুপুর ১২টার দিকে সে খবর সত্য বলে প্রমাণিত হয়। দুপুর দুইটার পর পাওয়া যায় মূল রেজাল্ট। তবে এর আগেই শিক্ষার্থীদের অনেকে মোবাইল বা ইন্টারনেটে ফলাফল জেনে নেয়। মুকুট হারালেও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করায় একটু দেরিতে হলেও শুরু হয় আনন্দ উৎসব। নানা ধরনের বাদ্য যন্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীরা নেমে পড়ে স্কুল মাঠে। গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যামেরা তাদের সে আনন্দকে যেন আরো বাড়িয়ে দেয়।

ফলাফল পাওয়ার পর অনবরত কাঁদতে দেখা যায় নুসরাত চায়না নামের এক পরীক্ষার্থীকে কাছে গিয়ে জানা গেল জিপিএ ফাইভ পাওয়ার আনন্দেই তার এ কান্না।

নুসরাত জানালো, হরতালের মধ্যে ভীষণ কষ্ট করে পরীক্ষা দিয়েছি। ভাল ফলের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। আজ কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে ভীষণ কান্না পাচ্ছে। মহান আল্লাহ,পরিবার এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ আমার পাশে থাকার জন্য। আশা করছি আগামী দিনেও তাদের এই সমর্থন পাব।

মেয়ের সঙ্গে কাঁদছিলেন মা রাজিয়া সুলতানাও। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাজউক স্কুল দ্বিতীয় স্থানে শুনে খিছুটা খারাপ লাগছে। তবে মেয়ের ফলাফলে ভীষণ

খুশি হয়েছি।   শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন ছেলেমেয়েদের জন্য। আজ সে ফল পেয়েছি। তবে আশা করছি আগামীতে আবারও স্কুলটি তাদের যোগ্য স্থান
অধিকার করে নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা,মে ৩০, ২০১৫
জেপি/আরআই

** সবার সেরা শামসুল হক খান স্কুল

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ