ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): শান্তিতে নোবেলজয়ী ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী কৈলাস সত্যার্থী বলেছেন, তরুণরা কালকের নয় বরং আজকেরই নেতা। তারা আলো ও উন্নয়নের প্রতীক।
শনিবার (৩০মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক পাবলিক লেকচারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘টেকসই উন্নয়নের জন্য শিক্ষা’ শীর্ষক এ পাবলিক লেকচারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ।
কৈলাস সত্যার্থী বলেন, শিক্ষা মানুষের মনের দুয়ার খুলে দেয়। গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে মানুষ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের উন্নয়ন ঘটতে পারে। তবে যে শিক্ষা মনের দুয়ার খুলে দেয় সেই শিক্ষা আজ হুমকির মুখে।
‘জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় গোড়ামীর কারণে বিশ্বের বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা বোমা ও অস্ত্রের হুমকির মুখে। ’
মৌলবাদীরা শিক্ষার শক্তি সম্বন্ধে অবগত বলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
টেকসই উন্নয়নে শিক্ষাকে ‘চাবিকাঠি’ উল্লেখ করে কৈলাস সত্যার্থী বলেন, সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের পর বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার আগে দারিদ্র্য দূর করতে হবে। আর তা করতে হবে শিক্ষার মাধ্যমে।
‘কেননা শিক্ষা ব্যতীত কোনো ধরনের উন্নয়ন বা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। শিক্ষা হচ্ছে টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে আমাদের টেকসই উন্নয়নের দিকে এগোতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বক্তব্য শেষে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী কৈলাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা ও শিশুদের অধিকার নিয়ে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
সুশিক্ষা, সচেতনতা ও দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে শিশু নির্যাতন, শিশুশ্রম এবং শিশুপাচার রোধ করা সম্ভব বলেও মত দেন কৈলাস।
বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. শফিক উজ জামান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।
এসময় অন্যদের মধ্যে কৈলাস সত্যার্থীর সহধর্মিণী সুমেধা সত্যার্থী, সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
এসএ