জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে অর্থমন্ত্রীর করা সমালোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতায় ১১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষায় কোন কাজ হয়নি, অগ্রগতি নেই।
রোববার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ ক্ষোভের কথা বলেন নাহিদ। এসময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যারা বাজেট বক্তৃতা লিখেছেন তারা কিভাবে এসব লিখলেন। অর্থমন্ত্রী হয়তো ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি দেখবার সুযোগ পাননি। তাই বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য বলছি।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে, পরীক্ষা দিচ্ছে, ভালো ফল করছে। এতো মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ তারপরেও কিভাবে বলেন মাধ্যমিক শিক্ষায় উন্নয়ন হয়নি। এর জবাব আমি কি দিবো। আমার কি বলার আছে।
তিনি বলেন, শিক্ষাখাতে উন্নয়নের জন্য দরকার ১৬ হাজার কোটি টাকা। দেওয়া হয়েছে মাত্র ৪ হাজার কোটি। এ দিয়ে বেতন দিবো নাকি অবকাঠামো উন্নয়ন করবো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন জাতীয় উন্নয়নের ৬ ভাগ শিক্ষাখাতে ব্যয় করার দরকার। তিনি দূরদর্শী ছিলেন। এবার বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৩ ভাগ। যা সবচেয়ে বেশি বরাদ্দকৃত মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অষ্টম। যেখানে ঘানা, কেনিয়ার মতো দেশে শিক্ষাখাতে ব্যয় করা হয় ৩১ ভাগ। আমাদের ব্যয় সেখানে মাত্র ৪ দশমিক ৩ ভাগ।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি নিয়ে এমপিদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, আপনাদের সমস্ত দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি। আপনাদের দাবি অনুযায়ী কাজ হচ্ছে, ধীরে ধীরে সব বাস্তবায়ন হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক ৯৯ শতাংশর শিশু স্কুলে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর একজন কর্মী হিসেবে তার নির্দেশমতো কাজ করার চেষ্টা করি। ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সংসদ সদস্যরা শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, প্রস্তাব করেছেন। আমরা সবকিছু নোট রেখেছি। ভবিষতে সেগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্রতা অতিমাত্রায় কমে এসেছে। বিদ্যুৎ খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক সফলতা এসেছে। স্বাস্থ্য সেবায় বিরাট পরিবর্তন এসেছে। অবকাঠামো উন্নয়নে এসেছে বৈল্পবিক পরিবর্তন।
মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৫
এসএম/এসকে/কেএইচ/