ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবি ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের হামলার চেষ্টা

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০১৫
বাকৃবি ক্যাম্পাসে স্থানীয়দের হামলার চেষ্টা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসে অতর্কিত হামলার চেষ্টা করেছে স্থানীয়রা। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।



শুক্রবার (০৩ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ মোড়ে জমায়েত হয়ে হামলার প্রস্তুতি নেয় তারা।

এদিকে, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির গাড়িতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে প্রবেশের সময় স্পিড ব্রেকারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর প্রাইভেট কার থামিয়ে গালি-গালাজ করে বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী। একপর্যায়ে তারা সভাপতির গাড়ির সামনের গ্লাসে আঘাত করে। পরে, রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি-শোটা সহকারে মিছিল বের করে।

এ সময় বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড় এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাওয়ার পথে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদে দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিসারিজ মোড়ে জমায়েত হয় এলাকাবাসীরা। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে সমাবেশ করে তারা। সেখান থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী কর্তৃক চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে হামলার চেষ্টা চালায় তারা।

তাৎক্ষণিক পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে, বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক অর্পি হাওলাদার, তায়েফ রিয়াদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমেদ, আকিফ প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের ইন্ধনেই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারাই ছাত্রলীগ সভাপতির গাড়িতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মানববন্ধন থেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে শাখা ছাত্রলীগ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিরাপত্তার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করার পর ফলপ্রসু জবাব না পেয়ে প্রক্টর অফিস ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সে সময় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড় ও কে আর মার্কেটের হোটেল ও দোকান-পাট বন্ধ করে রাখে হোটেল মালিক ও দোকানিরা। এ সময় রাতের খাবার খাওয়া নিয়ে বিপাকে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে হোটেল খুলে দেয়।

বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু বলেন, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরাই আমার গাড়িতে হামলা করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করার পর থেকেই তারা বিভিন্নভাবে বিশ্ববিদ্যালয় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিমউদ্দিন বলেন, ঘটনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাজানো নাটক। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৫     
এমজেড/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।