রাবি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ৬৩ বছরে পর্দাপণ করেছে। এ দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
১৯৫৩ সালে মাত্র ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ বিদ্যাপীঠের। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে যেমন অবদান রয়েছে তেমনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে পরিচয় করিয়ে দিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রয়েছে গৌরবজ্জ্বল অবদান।
রাজশাহী শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত এ বিদ্যাপীঠ উত্তরবঙ্গের আলোকবর্তিকা হিসেবে জ্ঞানের আলো বিলিয়ে যাচ্ছে যুগ যুগ ধরে।
সোমবার (৫ জুলাই) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৯৫৩ সালের ৩১শে মার্চ প্রাদেশিক পরিষদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। একই বছরের ৬ জুলাই ড. ইৎরাত হোসেন জুবেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি করে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই সময় পদ্মাপাড়ের বড় কুঠি ও রাজশাহী কলেজের বিভিন্ন ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬১ সালে বড় কুঠি থেকে নয়নাভিরাম মতিহারের এ সবুজ চত্বর শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম।
পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত এ ক্যাম্পাসটি ৩০৩ হেক্টর জমির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। শুরুতে দর্শন, ইতিহাস, বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, গণিত ও আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি অনুষদের অধীনে ৫০টি বিভাগ রয়েছে।
তাছাড়া উচ্চতর গবেষণার জন্য রয়েছে ৫টি ইনস্টিটিউট। মোট শিক্ষক রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২শ’ এবং শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ৩৩ হাজার।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৫
কেএইচ/কেএইচ