জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: বিতর্কিত ছাত্রলীগ নেতাদের অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগসহ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাম্প্রতিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
রোববার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বরাবর দেওয়ার একটি আবেদনপত্রে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা প্রতিবাদ জানান।
প্রতিবাদপত্রে তারা বলেন, নজিরবিহীনভাবে কর্মকর্তা হিসেবে যে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাঞ্ছনা, চাঁদাবাজি ও হামলাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। প্রচলিত আইনে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা আছে। এ ধরনের নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির জন্য চরম ক্ষতিকর এবং এই নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্বচ্ছ নয়। বন্ধের আগে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ছাড়া এই নিয়োগ সবার মনে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। তড়িঘড়ি করে এমন নিয়োগে সত্য আড়ালের অপচেষ্টা আছে। আমরা এ ধরনের ‘বিতর্কিত’ নিয়োগ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে বিতর্কিত নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে।
তারা বলেন, কিছুদিন আগে সিন্ডিকেট ও পরবর্তী সময়ে সিনেটের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছর করা হয়। এরপরও সরকারের একটি চিঠিকে পুঁজি করে ‘চূড়ান্ত’ নিষ্পত্তিকরণের অজুহাতে অল্প কয়েক দিন আগে গৃহীত একটি সিদ্ধান্তকে সিনেটে উপস্থাপন করা হয় এবং সিনেটের নির্দেশনা মত আবার জরুরি সিন্ডিকেট সভায় তা উপস্থাপন করা হয়। আমরা এই প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৭ বছরে বহাল রাখার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, সিনেট, ডীন, অর্থকমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলে শিক্ষক প্রতিনিধি পদে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যান্ডস্কেপের যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বর্ধন ও অবাধে বৃক্ষ নিধন বন্ধের জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, মো. এনামুল হক খান, শাহাবুদ্দিন কবীর চৌধুরী, রাজিয়া সুলতানা, মো. মজিবর রহমান, সৈয়দ মোহম্মদ কামরুল আহছান, মোজাম্মেল হক, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মনজুরুল করিম, আবদুল লতিফ মাসুম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৫
আরআই